বঙ্গবন্ধু সরকার প্রণীত আইন হালনাগাদের সিদ্ধান্ত

ডেস্ক রিপোর্ট আগস্ট ২৫, ২০২০, ১০:০৮ এএম
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে প্রণীত আইনগুলো বাতিল না করার এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে ওই সময়ের আইনগুলো হালনাগাদ বা নবায়ন করা যেতে পারে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার (২৪ আগস্ট) মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকের পর ভার্চুয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মধ্যে যে সব আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল সেগুলোর পরিবর্তে নতুন কোন আইন করা হবে না। তবে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সেগুলোর সংশোধন করা যেতে পারে।”

তিনি বলেন, “জনগণ, রাজনৈতিক ও শাসন পদ্ধতি গবেষকেরা যেন এই ব্যাপারে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পায় যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে কীভাবে স্বাধীনতা উত্তর সরকার নতুন একটি দেশকে পরিচালিত করেছে সে জন্যই মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

আরও বলেন, “মন্ত্রিসভা ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশের সঙ্গে সংগতি রেখে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ ও ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা আইনগুলোকে নিয়মিত আইনে পরিণত করার এবং এগুলোর মধ্যে অপ্রয়োজনীয় কিছু আইন বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আইন মন্ত্রণালয়ের আইন বিভাগকে এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন। মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয় থেকে এতে সংযুক্ত হন।

সচিব জানান, মন্ত্রিসভা হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন সংক্রান্ত একটি খসড়া আইন পর্যালোচনার করার সময় এই প্রস্তাব গৃহীত হয়। সংশোধিত আইনটিকে এখন ‘বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডার, ১৯৭৩’ নামে উল্লেখ করা হবে।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “সংশোধিত আইন অনুযায়ী এই সংস্থাটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয় পাশাপাশি এর কর্মকাণ্ডের আওতা বাড়ানো হয়।”

পাশাপাশি খসড়া আইনে এর আওতায় অপরাধের দায়ে একই সঙ্গে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। যে ধরনের অপরাধের জন্য আগের আইনে লঘু দণ্ডের বিধান ছিল।

আগামীনিউজ/এএইচ