বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদে ২১ আগস্ট হত্যাচেষ্টা হয়েছিল : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ২১, ২০২০, ১১:৪২ এএম
ফাইল ছবি

ঢাকা : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য কিছু করতেই আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাছাড়া ২১ আগস্ট যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমার বাঁচার কথা নয়।

গ্রেনেড হামলার ঘটনার ১৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার সকালে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। যারা সাহায্য করতে এসেছিলেন তাদের উপর পুলিশ লাঠি চার্জ ও টিয়ার গ্যাস ছুড়ে হটিয়ে দেয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদ না থাকলে ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড হতে পারে না। 

তিনি বলেন, 'বিএনপি জড়িত ছিল বলেই হামলার আলামত নষ্ট করা হয়েছে।' তৎকালীন সরকারের মদদ ছাড়া কিছুতেই এই নৃশংস হামলা চালানো সম্ভব ছিল না বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি বিএনপি। আর ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতেই চালানো হয় বর্বোরোচিত এই হত্যাকাণ্ড।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর ওপর নানা অত্যাচার নির্যাতন শুরু হয়। সিলেটে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর বোমা হামলাসহ দেশের ৫ শতাধিক স্থানে বোমা হামলা, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির প্রতিবাদে আমরা যখন বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশ ও র‌্যালি করতে যাই, সেই সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। 

তিনি বলেন, প্রত্যেকটা ঘটনা ঘটার আগে খালেদা জিয়া যে ভবিষ্যদ্বাণী ও বক্তব্য রেখেছিলেন, সেগুলোই তার প্রমাণ। কোটালীপাড়ায় বোমা হামলার আগে তিনি বলেছিলেন, ১০০ বছর ক্ষমতায় আসতে পারবে না আওয়ামী লীগ। আবার ২১ আগস্ট বোমা হামলার আগে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, শেখ হাসিনা কোনো দিন বিরোধী দলের নেতা হতে পারবেন না। এ বক্তব্যগুলো প্রমাণ করে যে এই গ্রেনেড হামলার সঙ্গে তারা জড়িত। তাছাড়া আলামত নষ্ট করা একটি প্রধান প্রমাণ।

আলোচনা সভা পরিচালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ১৯৭১, ১৯৭৫ ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আগামীনিউজ/এসপি