ঢাকা : কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে গুলি করে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হত্যার অভিযোগে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলিসহ সাত পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, পরিদর্শক প্রদীপ ও লিয়াকতকে বরখাস্তের আদেশ এসেছে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে।
আর এ মামলায় আত্মসমর্পণ করা বাকি পাঁচজন- এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে বরখাস্তের আদেশ কক্সবাজার জেলা পুলিশ কার্যালয় থেকে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ৩১ অগাস্ট রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
নিহতের বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস বুধবার বাদী হয়ে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয়জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে টেকনাফ থানায় হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দেয়।
এ মামলায় সাবেক মেজর সিনহার সঙ্গী ও ৩১ জুলাইয়ের ঘটনায় টেকনাফ পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামি সাহেদুল ইসলাম সিফাতসহ ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
আগামীনিউজ/এসপি