সাহেদের সহযোগীদের তলিয়ে দেখা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক ‌ জুলাই ১৯, ২০২০, ০৪:১৭ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা: রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিমের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আজকে অনেকেরই মনেই প্রশ্ন আসছে এই সমস্ত ভুয়া লোক কিভাবে সরকারের সঙ্গে কাজ করে কিংবা সরকার স্বীকৃতি দেয়। সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি। যদিও, আপনাদের অনেকের মনেই সন্দেহ আছে, সেগুলো আমরা খুব সিরিয়াসলি নিয়েছি। 

রোববার  (১৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) অডিটোরিয়ামে করোনা পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের সহায়তা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদ।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারা কারা এদের সঙ্গে জড়িত ছিল, কার সহযোগিতায় এই জায়গাটিতে তিনি আসছে। সবগুলোই আমরা তদন্ত করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যা যা করা দরকার তার সবগুলোই করেছেন। 

তিনি বলেন, সংবাদ পত্রের ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করলে সবাইকে তা দেওয়া হয়না। বিচার বিবেচনা করে হাতে গোনা কয়েকজনকে দেওয়া হয়। তারপরেও কিন্তু আজ পর্যন্ত কয়েক হাজার সংবাদ পত্রের অনুমোদন হয়েছে। এটাও সত্য। অনেকেই সংবাদ পত্রকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। সেখানেও আপনাদেরকেও চিহ্নিত করে দেওয়া দরকার, যাতে করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি। 

সাংবাদিকদের বেতনের কথা উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আমি যখন মফস্বলে যাই তখন সাংবাদিকদের অবস্থার যে দুরাবস্থাটা দেখি, সেই অভিজ্ঞতাও আমার আছে। একটা আইডি কার্ড সাংবাদিক ভাইদেরকে দিয়ে বলে দেয় বেতন আজীবনই বাকি। 

তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস শুরু থেকেই দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ সাংবাদিকদের মাঝে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান। অনুরূপভাবে সেটিও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, করোনাকালে আমাদের সংবাদপত্রে যে দুর্যোগ সেই দুর্যোগকে পুঁজি করে সংবাদপত্র এবং টেলিভিশনের মালিকরা নানান বাহান জুড়ে দিয়েছে। এরপর অসহায়, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের জন্য অন্যান্য সংগঠনের মতো আমরাও প্রণোদনার জন্য তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলাম। তথ্যমন্ত্রী আমাদের কথা প্রধানমন্ত্রীর নিকট পৌঁছে দিলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি। তিনি তার দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ থেকে যতটুকু পেরেছেন আমাদেরকে সহায়তা করেছেন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব শাবান মাহমুদ প্রমুখ।

আগামীনিউজ/এআর/এমআর