ঢাকা : কোভিড-১৯ পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট ও নানান জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদের ১০ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া শাহেদের প্রধান সহযোগী তারেকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টায় ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) মোহাম্মদ জসিম এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে ডিবির পুলিশ পরিদর্শক গাফফারুল আলম ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
একই সঙ্গে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাহেদের প্রতারণা কাজের অন্যতম সহযোগী গ্রুপটির এমডি ও র্যাবের করা মামলার ২ নম্বর আসামি মাসুদ পারভেজ এবং সাহেদের আরেক অন্যতম সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীরও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে।
এমএলএম ব্যবসা থেকে শুরু করে একের পর এক জালিয়াতি ও নানারকম প্রতারণা অতঃপর রিজেন্ট হাসপাতালে করোনার নমুনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন তিনি।
গতকাল বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটার সীমান্তবর্তী কোমরপুর গ্রামের ইছামতী নদী দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। এর পরই তাকে র্যাবের সদর দপ্তরে নেয়া হয় তারপর রিজেন্ট কেলেঙ্কারির মূল হোতা মোহাম্মদ সাহেদকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। এর আগে তাকে র্যাব সদর দপ্তর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়।
তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করেছে র্যাব। সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় সাহেদ করিমসহ তিনজনকে আসামি করে বুধবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন সাতক্ষীরা র্যাব ক্যাম্পের ডিএডি নজরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, বুধবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে সাতক্ষীরার দেবহাটা থেকে গুলিভর্তি পিস্তলসহ তিনি গ্রেপ্তার হন।
আগামীনিউজ/এসপি