জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, যত দিন যাবে মানুষ উপলব্ধি করতে পারবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অবদান। কোটি মানুষের জন্য কল্যাণময় কাজ করলেও কিছু সুবিধাভোগী মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। সুবিধাভোগীরাই এরশাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন। সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর অপপ্রচার ও কুৎসা রটনাকালেও ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের দুঃসময়ে ৫টি করে আসনে নির্বাচিত হয়ে অনন্য রেকর্ড করেছেন এরশাদ।
বুধবার (১৫ জুলাই) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে জাতীয় যুব সংহতি ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত পল্লীবন্ধুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, এরশাদ ছিলেন একজন সফল মানুষ। তিনি উপজেলা পরিষদ সৃষ্টি করে শহরের সেবা তৃণমূল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন। বিচার ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণ করে উপজেলা পর্যায়ে মুন্সেফ কোর্ট ও বড় বড় শহরে হাইকোর্টের বেঞ্চ গঠন করেছিলেন। ওষুধনীতি করে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের বিকাশে অবদান রেখেছেন। আবার স্বাস্থ্য ও শিক্ষানীতি করে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চেষ্টা করেছিলেন।
এসময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আবারো জাতীয় পার্টি গণমানুষের আস্থা নিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবে। একটি মহল জাতীয় পার্টিতে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়। জাতীয় পার্টি যেন এগিয়ে যেতে না পারে সেজন্য ষড়যন্ত্র চলছে।
জাতীয় যুবসংহতি ঢাকামহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ফজলুল হক ফজলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, যুগ্ম মহাসচিব ও জাতীয় যুবসংহতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আহসান শাহজাদা, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবসংহতির সদস্য সচিব মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাদেক সরদার বাদল প্রমুখ।
আগামীনিউজ/ইমরান/জেএফএস