ঢাকা : চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটিয়ে একে পর এক চমক দিচ্ছিলেন অর্ধশতাধিক মামলার অভিযোগ আনা পলাতক রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে ভারত পালাতে নিজের বেশভূষায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছিলেন। এর আগের দিন সিলেটেও ব্যাপক তল্লাশি চালায় র্যাবের গোয়েন্দা সংস্থা।
কয়েকটি স্থানও পরিবর্তন করেন ধুরন্ধর সাহেদ। আত্মীয়-স্বাজনও তাকে আশ্রয় দেয়নি। ৯ দিনের মাথায় নিজ এলাকায় ধরা পড়লেন চতুর সাহেদ।
নজর এড়াতে চুল কেটে ছোট করে তাতে সাদা রং লাগান। কেটে ফেলেন গোঁফ। পরেছিলেন কালো বোরকা। সেজেছিলেন নারী। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার ইছামতী নদীর পাশে এক নর্দমা থেকে ভোরে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব)। ওই নদীপথে নৌকাযোগে পালাতে চেয়েছিলেন তিনি।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ফজরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়েছি তখন দেখলাম বেইলি ব্রিজের ওপারে র্যাবের তিনটি গাড়ি এসে থামলো। এরপর র্যাব সদস্যরা চিৎকার করে বলতে থাকেন এই পেয়েছি। ধর ধর। এ সময় আমরা সবাই এগিয়ে গিয়ে দেখতে পেলাম তারা সাহেদকে ধরে ফেলেছেন। পরে তারা তাকে ব্রিজ পার করে এপারে নিয়ে আসেন। এ সময় তার পরণে শার্ট, প্যান্ট ও বোরকা ছিল। আর তার কোমরে ছিল একটি পিস্তল। পরে র্যাব উপস্থিত জনতার সঙ্গে কথা বলে ও ছবি তুলে তাকে এখান থেকে নিয়ে যায়।
সাহেদ তার স্বীকারোক্তিতে র্যাবকে বলেছে এই নৌকাতে করেই নদী পাড়ি দিয়ে তার ভারতে চলে যাওয়ার কথা ছিল।
উল্লেখ্য, আজ বুধবার ভোরে তাকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর বেইলি ব্রিজের পাশে নর্দমার মধ্যে থেকে বোরকা পরা অবস্থায় গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর একদিন আগে তার সহযোগীকে গাজিপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বুধবার সকাল ৯টার দিকে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় অনা হয় এবং তাকে র্যাবের সদর দপ্তরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আগামীনিউজ/এসপি