সাহেদ করিমের পাসপোর্ট জব্দ, বাড়ছে মামলার সংখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১২, ২০২০, ১২:২১ পিএম


ঢাকা : করোনার নমুনা পরীক্ষা ও আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার নামে প্রতারণা করা রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান ওরফে মো. সাহেদের পাসপোর্ট জব্দ করেছে তদন্তকারী দল। হদিস মিলেছে তার বিরুদ্ধে আরও ২৩ মামলার। সর্বমোট ৫৬টি মামলার আসামি প্রতারক সাহেদ।

র‌্যাবের অভিযানে আটককৃত রিমান্ডে থাকা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (১১ জুলাই) হাসপাতালটিতে ও রিজেন্ট কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে তদন্তকারী দল। অভিযানকালে গুরুত্বপূর্ণ আলামতসহ পাসপোর্ট জব্দ করে তারা।
তদন্তকারী এ দলের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক অভিযান পরিচালনাকারী র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। তিনি সিলগালা করা কার্যালয় খুলে দেন।

তদন্তকারী দলের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সাহেদ দেশত্যাগ করতে পারে, এমন শঙ্কায় রিমান্ডে থাকা আসামিদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হয় রিজেন্ট হাসপাতালে। সেখান থেকে সাহেদের পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। এখন অন্তত সাহেদ কোনো এয়ারপোর্ট বা বন্দর হয়ে দেশত্যাগ করতে পারবেন না।’

উল্লেখ্য, সাহেদের নামে ৩২টি মামলা রয়েছে। অভিযানের পর তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। তবে এরপর নানা দিক থেকে তথ্য ও অভিযোগ আসতে থাকে। ভুক্তভোগীরা র‌্যাব ও থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। সর্বশেষ আমরা আরও ২৩টি মামলার হদিস পেয়েছি। সবমিলিয়ে, সাহেদের বিরুদ্ধে ৫৬টি মামলা রয়েছে। এর অধিকাংশ মামলাই প্রতারণা ও ব্যবসায়িক জালিয়াতি সংক্রান্ত।’

নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ ও করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও গ্রেফতার হয়নি চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. শাহেদ। র‌্যাবের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) পুলিশের পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশন বিভাগকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হয়। সাহেদ যেন দেশত্যাগ করতে না পারে, সেজন্য সম্ভাব্য সকল বিমানবন্দর, স্থল ও নৌবন্দরে সতর্কাবস্থায় রয়েছে পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী এলাকায়ও সতর্ক রয়েছে বিজিবি।

 

আগামীনিউজ/এসপি