রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরির টিকিট বিক্রিপদ্ধতির পরিবর্তন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে স্থানীয় প্রভাবশালী ট্রাকদালালচক্র কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। সেখানে দালাল গ্রেপ্তারে নিয়মিত পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকায় ট্রাকদালালরা ওই ঘাট এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। ফেরিপার হতে দৌলতদিয়া ঘাটে আসা পণ্যবাহী ট্রাকচালকদের এখন আর আগের মতো অতিরিক্ত টাকায় দালাল ধরতে হচ্ছে না। চালকরা নিজ হাতে বিআইডাব্লিউটিসির কাউন্টার থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে টিকিট সংগ্রহের পর সিরিয়াল মেনে তারা ফেরিপার হতে পারছেন। তবে ট্রাকপারাপারে দৌলতদিয়া ঘাটের দৈনন্দিন চিত্র পাল্টে বর্তমান সুশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হলেও আগামীতে বজায় থাকবে কী না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেক ট্রাকচালক।
এদিকে বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. আবু আব্দুল্লাহ জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে ট্রাকদালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে ফেরির টকিট বিক্রির প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন কাউন্টার থেকে প্রতিটি ট্রাকের 'ব্লু-বুক' দেখে তবেই সংশ্লিষ্ট ট্রাকচালকের কাছে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। 'ব্লু-বুক' দেখাতে না পারলে কোন ট্রাকচালক বা চালকের সহকারির কাছে ফেরির কোন টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না।
এদিকে যশোরের বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পণ্যবোঝাই এক ট্রাকের চালক আকরাম সরদার বলেন, গত তিন বছর যাবত আমি দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করছি। এই ঘাটে এসে দালাল না ধরলে ফেরির টিকিট পাওয়া যেতো না। বহু দিন পর এখন কোন দালাল ছাড়াই আমরা নিজ হাতে কাউন্টার থেকে সরাসরি টিকিট কিনতে পারছি। ফেরির টিকিটমূল্যের বাইরে অতিরিক্ত কোন টাকাও আমাদের খরচ করতে হচ্ছে না।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান বলেন, ঘাটে ট্রাকদালাল চক্রের দৌরাত্ম্য ও গণপরিবহণে চাঁদাবাজি বন্ধে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের নির্দেশনা পেয়ে কঠোর অবস্থান নিয়ে থানাপুলিশ মাঠে নেমেছে। ইতিমধ্যে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন ট্রাকদালালকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আগামীনিউজ/জেএস