সিঙ্গাপুরে এখন করোনাভাইরাসে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের অর্ধেকের ক্ষেত্রেই কোনো উপসর্গ নেই বলে সরকারী ভাইরাস টাস্কফোর্সের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন টাস্কফোর্সের সহ-প্রধান লরেন্স ওং সোমবার রয়টার্সকে জানান, এটি উদঘাটন হওয়াতেই সরকার লকডাউনের বিধিনিষেধ খুবই ধীরে শিথিল করছে।
ছোটো দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে অভিবাসী শ্রমিকদের ডরমেটরিতে করোনাভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব রয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৩৮ হাজার জন আক্রান্ত হয়য়েছেন। প্রায় দুই মাসের লকডাউন শেষে গত সপ্তাহে স্কুল এবং কিছু ব্যবসা-বাণিজ্য আবার চালু হয়। লরেন্স বলেন, “আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, প্রতিটি লক্ষণযুক্ত শনাক্তের বিপরীতে কমপক্ষে একটি উপসর্গহীন কেস আছে।” সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সিঙ্গাপুর করোনাভাইরাসের পরীক্ষা আরও বেশি করে চালানোয় এটি উদঘাটন করা গেছে। সিঙ্গাপুর এর আগে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করেনি।গত দুই সপ্তাহে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন ৬ হাজার ২৯৪ জন, যাদের বেশিরভাগই অভিবাসী শ্রমিক। কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, উপসর্গ দেখা না দিলেও আক্রান্ত কেউ ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে দেখে মহামারীটি নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জের।
লরেন্স জানান, অ্যাসিম্পটমেটিক আক্রান্তদের ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ কম কারণ তারা কাশি বা হাঁচি দেন না। তবে সিঙ্গাপুরে অ্যাসিম্পটমেটিক সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, বিশেষ করে যেসব আক্রান্তরা কাছাকাছি বসবাস করে।অ্যাসিম্পটমেটিক ক্যারিয়ার পাওয়া যাওয়ায় সরকার ক্রমান্বয়ে বিধিনিষেধ শিথিলের পরিকল্পনা করেছে। ফলে অনেককেই এখনও বাড়িতে থেকে কাজ করতে হচ্ছে এবং তারা কেবল তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিশতে পারছে। “লোকেরা মন্তব্য করছেন - কেন আমরা দ্রুত অর্থনীতি আবার চালু করছি না?” “আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। ... এখনও কমিউনিটিতে অ্যাসিম্পটমেটিক সংক্রামণ হচ্ছে, যা হয়তো আমরা খুঁজে পাইনি।”
আগামীনিউজ/জেএস