পোশাক শ্রমিকদের মজুরি কর্তনের সিদ্ধান্ত অমানবিক

নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১২, ২০২০, ০৬:৩২ পিএম

পোশাক শ্রমিকদের মজুরি কর্তন করে ৬৫ ভাগ দেয়ার সিদ্ধান্তকে অমানবিক হিসাবে আখ্যায়িত করে ২৫ রোজার মধ্যেই শ্রমিকদের পূর্ণ বেতন ও ঈদ বোনাস মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দেয়ার দাবি দাবী জানিয়েছে জাতীয় কৃষক-শ্রমিক আন্দোলন।

মঙ্গলবার (১২ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা  এ দাবী জানান।

নেতৃত্রয় বিবৃতিতে বলেন, যেখানে রাষ্ট্রের কোনো দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন কর্তন করা হয় নি, সেখানে নিম্ন আয়ের শ্রমিকের মজুরি কর্তনের সিদ্ধান্ত মালিক পক্ষের একটি অন্যায় ও অমানবিক পদক্ষেপ ছাড়া অন্য কিছুই নয়। কঠিন এক দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের ডেকে এনে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ সারা দেশকে করোনা ঝুঁকিতে ফেলে কারখানা চালু করেছে গার্মেন্টস মালিকরা। অথচ তাদের অতিরিক্ত সম্মানি প্রদান না করেই বরং তাদের ন্যায্য পাওনা কেটে রাখার সিদ্ধান্ত মালিকদের শোষনের চোহারাই প্রকাশ হচ্ছে।

তারা বলেন, যখন প্রয়োজন ছিল কর্মরত এসব শ্রমিকের বীমা ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা তখন উল্টো কারখানার শ্রমিকদের ৩৫ ভাগ মজুরি কর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজিএমইএ। করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় যেখানে শ্রমিকের স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য মজুরি আরও বৃদ্ধি প্রয়োজন সেখানে শ্রমিকদের মজুরি কর্তনের সিদ্ধান্ত শুধু অমানবিক-ই নয়, সারাদেশের মানুষকে বিস্মিত করেছে। অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে সকল শ্রমিকের পূর্ণ মজুরি ও বোনাস প্রদান করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ ২৫ রোজার মধ্যে ঈদ বোনাস পরিশোধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই দুর্যোগকালীন সময়ে গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রতি মানবিক আচরণ করুন।

কারখানা লে-অফ, বন্ধ ঘোষণা, অবৈধ ছাঁটাইয়ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বন্ধ কারখানা খুলে দেয়াসহ ছাঁটাই বন্ধের দাবি জানান।

আগামী নিউজ/ তাওসিফ