ত্রাণে অনিয়ম: চেয়ারম্যান ও ৬ ইউপি সদস্য বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক মে ৫, ২০২০, ০৪:৩৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ত্রাণ নিয়ে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরো ১ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ৬ ইউপি সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।  এ নিয়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার পর এ নিয়ে মোট ৪৯ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।  তাদের মধ্যে ১৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ২৯ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য এবং ১ জন পৌরসভার কাউন্সিলর।

মঙ্গলবার ৫ মে  স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছেন মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যরা হলেন, বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউপি'র ১ নং ওয়ার্ডের রুবেল ইজারাদার ওরফে বাবুল মেম্বার, নড়াইল জেলার সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউপি'র ৮ নং ওয়ার্ডের মোঃ সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউপি'র ৯ নং ওয়ার্ডের মোঃ সেলিম মোল্লা, 
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউপি'র ৮ নং ওয়ার্ডের রেজাউল করিম খান সোহাগ, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউপি'র ৩ নং ওয়ার্ডের মুজিবুর রহমান এবং ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য সাহিদা বেগম রূপা।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বিনা অনুমতিতে ইতালি গমন করেছেন এবং সেখানে অবস্থান করছেন।

পৃথক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বাগেরহাট জেলার পেড়িখালী ইউপি সদস্য রুবেল ইজারাদার ওরফে বাবুল মেম্বার করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় সরকারি দায়িত্ব পালনরত ডাক্তারগণ কে দায়িত্বপালনে বাধা প্রদান ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন। বরখাস্তকৃত অন্য সদস্যরা সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎসহ ত্রাণ
বিতরণে অনিয়ম করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে এবং কেউ কেউ গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে আছেন।

উল্লেখিত চেয়ারম্যান ও সদস্য কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ মূলক কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে তাদের দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। কাজেই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

একইসময় পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা  হয়।

আগামী নিউজ/ তরিকুল/ তাওসিফ