বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোন দেশকেই র‌্যাপিড কিটস পরীক্ষার অনুমোদন দেয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ২৭, ২০২০, ০৪:৫২ পিএম
ছবি: সংগ্রহীত

ঢাকা: বিশ স্বাস্থ্য সংস্থা কোন দেশকেই র‌্যাপিড কিটস পরীক্ষার অনুমোদন দেয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ও মিডিয়া সেলের আহবায়ক মো. হাবিবুর রহমান খান। 

সোমবার দুপুরে ২৭ এপ্রিল,  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেল কর্তৃক আয়োজিত “কভিড-১৯ পরীক্ষার কিটস” সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। এ সময়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

ব্রিফিং এর শুরুতে অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কর্তৃক গত ২৬ এপ্রিল, ২০২০ তারিখে সাংবাদিক সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং জানান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ কিটস পরীক্ষার বিষয়াদি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ঔষধ প্রশাসনকে যেভাবে দোষারোপ করেছেন তা মিথ্যা ও উদ্যেশ্যপ্রণোদিত। 

প্রকৃতপক্ষে গণস্বাস্থ্য তাঁদের দাবীর ক্ষেত্রে কোন রকম প্রটোকল মেইনটেইন করেনি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাঁদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না রেখেই ঢালাওভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দোষারোপ করেছেন।

গণস্বাস্থ্যের র‌্যাপিড পরীক্ষার কিটস প্রসঙ্গে মিডিয়া সেলের আহবায়ক আরো বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোন দেশকেই র‌্যাপিড কিটস পরীক্ষার অনুমোদন দেয়নি। এক্ষেত্রে গণস্বাস্থ্যের র‌্যাপিড কিটস পরীক্ষারও আপততঃ কোন সুযোগ নেই। তবে ভবিষ্যতে র‌্যাপিড কিটস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত ও নির্দেশিত হলে গণস্বাস্থ্যের কিটস গ্রহণে সরকারের কোন আপত্তি থাকবে না।

গণস্বাস্থ্যের কিটস গ্রহণ না করা ও ঔষধ প্রশাসনের অসহোযোগিতা প্রসঙ্গে ঔষধ প্রশাসনে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান সরকারের পক্ষে নানা তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন। 


ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান বলেন, গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত পক্ষে গণস্বাস্থ্যকে সরকারিভাবে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। কিন্তু গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সরকারের কোন প্রটোকল আজ পর্যন্ত মেইনটেইন করেনি। ঔষধ প্রশাসন গণস্বাস্থ্যের কেন্দ্রে সরকারিভাবে বারবার পরিদর্শনে গিয়েছে এবং সে জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিনিধিগণ সরকারকে একাধিকবার ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা পত্রও পাঠিয়েছে যেগুলো তারিখসহ আমাদের কাছে রক্ষিত আছে। কিন্তু তাঁরা যা মুখে বলেছে বাস্তবে সে কাজগুলি করেনি। উল্টো সরকারকে জনসম্মুখে হেনস্তা করতে নানারকম বিভ্রান্তি ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে হাবিবুর রহমান খান জানান, করোনা প্রতিরোধে খুব দ্রুতই আরো ২ হাজার চিকিৎসক ও ৬ হাজার নার্স নিয়োগ করা হবে। করোনা মোকাবেলায় সরকারের হাতে ১ লক্ষেরও বেশি কিটস মজুদ আছে বলেও সরকারের অতিরিক্ত সচিব ব্রিফিং এ জানান।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান ব্রিফিং এ সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আগামী নিউজ/ তরিকুল/ তাওসিফ