বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিতর্কিত ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ না জানানোর নির্দেশ 

আগামী নিউজ প্রতিবেদক নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০২:১০ পিএম

ঢাকা: বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যুদ্ধাপারাধী বা মানবতাবিরোধী অপরাধী ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বিজয দিবস উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠকের পর তিনি এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। এরমধ্যে জাতীয় পতাকার নির্দিষ্ট মাপ ও অন্যান্য বিষয় রয়েছে। নির্দিষ্ট মাপছাড়া কোনও পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া মলিন, ছেড়া, রঙচটা পতাকা উত্তোলন করা যাবে না। শুধুমাত্র ১৬ ডিসেম্বর যেকেউ পতাকা উত্তোলন করতে পারবেন। পরদিন পতাকা নামিয়ে ফেলতে হবে।’

দীর্ঘদিন ধরে অনেকেই পতাকা উত্তোলন করে থাকেন বলেও উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বিজয় দিবসে রাজধানীসহ সারাদেশে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে পুস্পস্তবক অর্পণের জন্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, কুটনৈতিকদের বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে স্মৃতিসৌধে আনা নেওয়া করা হবে।  অপ্রীতিকর ঘটনা ও পরিস্থিতি এড়াতে সাভার থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকাটিও সিসিটিভির আওতায় থাকবে। যাতে কোন নাশকতা কেউ ঘটাতে না পারে। ঢাকা থেকে সাভার পর্যন্ত কোন তোরন করতে দেবো না।’

আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘বিজয় দিবসকে কেন্দ্রকরে প্রতিবছর বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যালির আয়োজন করে। এসব অনুষ্ঠানের ৭ দিন আগেই সংশ্লিষ্ট থানা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করতে হবে। সে অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হবে। ৪১১টি স্থানে ফায়ার সার্ভিস এলার্ট থাকবে। স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল টিম, অ্যাম্বুলেন্স থাকবে স্মৃতিসৌধসহ গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায়।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিজয় বিদসের র‌্যালি, প্যারেডসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য বিভিন্ন স্থানে এলইডি স্ক্রিন বসানো হবে। যাতে করে সাধারণ মানুষ বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসকে কেন্দ্রকরে কিছুদিন আগে থেকেই মানুষ আলোকসজ্জা করে থাকেন। কিন্তু শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবসে (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকাসহ সারা দেশে কোথাও কোনও আলোকসজ্জা করা যাবে না।’

সড়কপথে জান চলাচল সচল রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে পুলিশের আইজিসহ আইনশৃঙ্খলা বহিনীর প্রধান ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই দিন জেলাখানা, হাসপাতাল, এতিমখানায় উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে।

আগামী নিউজ/টিআইএস/এমআর