ঢাকা : রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকা থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র কুতুব উদ্দিন পাপ্পুকে (১৪) অপহরণে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে পরিবার।
শনিবার (১৪ মার্চ ) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় পাপ্পুর মা রুনা পারভীন রুনু। এ সময় সন্তানকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে মা বলেন, গত ৩ অক্টোবর বাসা থেকে বেরিয়ে তার ছেলে নিখোঁজ হয়। এরপরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেও এখন পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ছেলে নিখোঁজের পর ওই সময়ে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ প্রথমে গড়িমসি করে পরে মামলা নেয়।
তিনি বলেন, ৫ অক্টোবর ছেলে নিখোঁজের বিষয়টি ফেসবুকে দিলে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ইমু’তে এসএমএস করে জানায় যে,‘পাপ্পু তার কাছে আছে এবং ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে রাখা হয়েছে।’ এছাড়া অপহরণকারী দুই কোটি টাকা দাবি করে এবং পাপ্পুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে একটি চোখ বাধা ছবি পাঠায়।
পরবর্তীতে এসব বিষয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে জানালে ডিবির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের তৎকালীন উপ-কমিশনার (ডিসি) মীর মোদাসসের হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান শুরু করে। তারা প্রথমে ধোলাইপাড় শহীদ চান্দির বাড়ি থেকে অপহরণে জড়িত রাজুর মা ও বড় ভাই রাজীবকে আটক করে। তাদের দেয়া তথ্যমতে গাজীপুর থেকে রাজুকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া রাজুর বাসা থেকে ব্যবহৃত পাপ্পুর মোবাইল ফোন ও জুতা ও প্যান্টের বেল্ট উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে রুনা বেগম বলেন, গ্রেফতার রাজু তাদের সঙ্গে যে কথা বলেছে এবং আদালতের বক্তব্যের সঙ্গে কোনো মিল নেই। পরবর্তীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তে এবং সিআইডির কর্তৃক পাপ্পু ও রাজুর মোবাইল ফোন ফরেনসিক করলে সেটি স্পষ্ট হয়।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই মা বলেন, অপহরণের পর ৬ মাস পার হলেও পাপ্পু এখন কোথায় আছে, এমনকি জীবিত আছে কি না সেটিও পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি। তিনি বলেন, রাজুর একার পক্ষ্যে তার ছেলেকে অপহরণ করা সম্ভব নয়। এ ঘটনায় আরো যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতারে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
আগামীনিউজ/সুশান্ত/হাসি