ঢাকা: করোনাভাইরাস ‘কোভিড-১৯’ মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করেছে সরকার। একই সঙ্গে চিকিৎসা সুবিধা স্থাপন বা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
২০১৯-২০২০ অর্থবচরের সংশোধিত বাজেটে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবালয় অংশে সাধারণ থোক বরাদ্দ খাতে এই ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখতে বলা হয়েছে।
গত ৫ মার্চ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের বাজেট অধিশাখার দরখাস্ত থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব সুশীল কুমার পাল এতে স্বাক্ষর করেন।
ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট/হাসপাতাল) এর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে এটির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে, জানানো যাচ্ছে যে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ‘কোভিড-১৯’ এর চিকিৎসার নিমিত্ত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং জেলা/ উপজেলা পরিষদের চোরম্যানকে উপদেষ্টা করে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ‘কোভিড-১৯’ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিবিড় পরিচর্য কেন্দ্রে রাখতে হয়। এজন্য সিসিইউ, আইসিইউ, আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু সহায়ক স্বাস্থ্য সেবা (সাপোর্টিভ কেয়ার), করোনাভাইরাসে পরীক্ষার জন্য কীট এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয়ের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
দেশের সকল জেলা/জেনারেল হাসপাতালসহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের জন্য চিকিৎসা সুবিধা স্থাপন বা সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে ২০১৯-২০২০ অর্থবচরের সংশোধিত বাজেটে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবালয় অংশে ১২৭০১০১১১০৫১২-৩৯১১১১১ সাধারণ থোক বরাদ্দ খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন।
এমতাবস্থায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও ‘কোভিড-১৯’ এ আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসার সুবিধা স্থাপন বা সম্প্রসারণের জন্য অর্থ বিভাগের অপ্রত্যাশিত খাত হতে ১০০ কোটি টাকা ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবালয় অংশে ১২৭০১০১১১০৫১২-৩৯১১১১১ সাধারণ থোক বরাদ্দ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
আগামীনিউজ/জুনায়েদ/নাঈম