ঢাকা : ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণে জরিমানার শিকার হতে হয় অনেককে। প্রচলিত ভাষায় যাকে বলা হয় ‘কেস স্লিপ’। যা দেখিয়ে নির্ধারিত জরিমানার টাকা পরিশোধ করে মামলা থেকে অব্যাহতি নিতে হয়।
আমরা জানি গাড়ি নিয়ে মামলা হলে আপনার গাড়ির একটি বা দুটি কাগজ আটকে রেখে ট্রাফিক পুলিশ আপনাকে একটি কেস স্লিপ দিয়ে দেয়। তারপর ইউক্যাশ এর মাধ্যমে টাকা জমা দিলে আপনার বাইকের আটকে রাখা কাগজ আপনাকে ফেরত দেয়া হয়। অনেক সময় জরিমানার টাকা পরিশোধের পূর্বে আমাদের কাছ থেকে এই কেস স্লিপ হারিয়ে যায়। আমরা অনেকেই জানি না কেস স্লিপ হারিয়ে গেলে কিভাবে কী করতে হয়। আজ আপনাকে জানাবো ‘কেস স্লিপ’ হারিয়ে গেলে কী করবেন?
কেস স্লিপ হারিয়ে গেলে করনীয় :
১. জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করা- সবার প্রথমে আপনাকে থানায় যেতে হবে এবং জিডি করতে হবে। নিকটস্থ থানায় গিয়ে গাড়ির নাম্বার উল্লেখপূর্বক কেস স্লিপ হারানোর বর্ণনা দিয়ে জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করবেন।
অনেকের কাছে মনে হতে পারে এটা খুব ঝামেলার কাজ, কিন্তু এমনটা আসলে না। আপনি থানায় গেলে পুলিশের কাছ থেকে সহায়তা পাবেন।
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সাথে রাখা- এই কাজগুলো করতে গেলে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিবেন। কারণ এটি আপনার ভেরিফিকেশনের জন্য কাজে লাগবে। যদি সম্ভব হয় নিজের অরজিনাল জাতীয় পরিচয়পত্রটিও সাথে রাখুন।
৩. সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক অফিসে যাওয়া- প্রথমে আপনাকে জানতে হবে আপনার বাইকের কাগজ কোন জোনের ট্রাফিক অফিসে আছে। ট্রাফিক অফিস সনাক্তেরপর সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক অফিসে জিডি কপি ও পরিচয়পত্রের কপি দিয়ে জানিয়ে দিন আপনার কেস স্লিপ হারিয়ে গেছে।
৪. ট্রাফিক অফিস আপনার গাড়ির মামলার তথ্য যাচাই করবে।
৫. জরিমানার পরিমাণ জানিয়ে দেয়া- তথ্য যাচাই শেষ হয়ে গেলে ট্রাফিক অফিস মামলার আইডি ও জরিমানার পরিমাণ আপনাকে জানিয়ে দেবে। আপনার যদি এটা নিয়ে অন্য কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে সেখান থেকে আপনি জেনে নিতে পারবেন।
৬. জরিমানা পরিশোধ- আপনি ইউক্যাশে জরিমানা পরিশোধ করে আসলে জিডি ও পরিচয়পত্রের কপি জমা দিয়ে আপনার ডকুমেন্টটি পেয়ে যাবেন।
স্লিপ হারিয়ে গেলে আপনি কাগজ ফেরত পাবেন, কিন্তু যদি ঝামেলা এড়িয়ে চলতে চান সব সময় নিজের বাইকের ডকুমেন্ট নিয়ে সচেতন থাকুন। যত্র দ্রুত সম্ভব মামলার টাকা জমা দিয়ে বাইকের কাগজ পত্র বুঝে নিন। সবচেয়ে ভালো হয় মামলা হওয়া মাত্র ইউক্যাশে টাকা জমা দিয়ে কাগজ নিয়ে নিতে পারলে। নিরাপদ হউক আপনার পথচলা।
আগামীনিউজ/সুমন/নুসরাত/নাঈম