১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক মাসের মধ্যে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ড. বশির আহমেদ।
এর আগে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মৃতি বিজড়িত স্থান রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিয়ে সরকারের নেওয়া পরিকল্পনা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষকে এ তথ্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস ঘোষণা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্থান চিহ্নিত এবং সেখানে বঙ্গবন্ধুর আঙ্গুল উঁচানো স্ট্যাচু নির্মাণের নির্দেশনা চেয়ে ২০১৭ সালে এ রিট আবেদন দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ড. বশির আহমেদ।
এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেছিলেন।
২০১৭ সালে জারি করা রুলে হাইকোর্ট ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে কেনো ঘোষণা করা হবে না, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যে স্থানে যে মঞ্চে ভাষণ দিয়েছিলেন, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ ও ইন্ধিরা গান্ধীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে সেই স্থানে মঞ্চ পূনঃনির্মাণ এবং বক্তব্যরত বঙ্গবন্ধুর আঙ্গুল উঁচানো স্ট্যাচু কেনো নির্মাণ করা হবে না তা জানতে চেয়েছিলেন।
আগামীনিউজ/নিম্নআদালত/মামুন