ঢাকা : ফিটনেসবিহীন ও রেজিষ্ট্রেশনবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ ও নতুন সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়ন করতে প্রতিটি জেলায় টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিবের অধীনে প্রতি জেলায় ওই কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। এছাড়াও আদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী তিনমাস পর হাইকোর্টকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না, মাহজাবিন রাব্বানী দীপা, কাজী শামসুন নাহার কনা ও ঈশিতা পারভীন। বিআরটিএর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মঈন আলম ফিরোজী ও রাফিউল ইসলাম।
এরআগে ১২ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশনা অনুসারে সারাদেশে ফিটনেস নবায়ন না করা (ফিটনেস খেলাপি) গাড়ী রাস্তায় চলতে পারবে না বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
২০১৯ সালের ২৩ জুলাই এক আদেশে ঢাকাসহ সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়িগুলো দু’মাসের মধ্যে ফিটনেস নবায়ন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গত বছরের ১ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো।
গত ২৪ জুন ঢাকাসহ সারাদেশে ফিটনেসবিহীন যানবাহনের তথ্য জানতে চেয়েছিলেন আদালত। সে অনুসারে, হাইকোর্টে এ প্রতিবেদন দেয় বিআরটিএ।
গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি সংক্রান্ত একটি ইংরেজি দৈনিকে গত ২৩ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব। এরপর ওইদিন আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
রুলে ফিটনেসবিহীন গাড়ি, রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর বিষয়ে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, পাশাপাশি সংবিধানের ৩২ ধারার আলোকে জীবন বাঁচার অধিকার বাস্তবায়নে কেন মোটর ভেহিক্যাল আইন ১৯৮৩ এর বিধানগুলো সঠিকভাবে পালনের জন্য কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
আগামীনিউজ/উচ্চআদালত/সবুজ