এসডিজি অর্জনে নিজের শক্তিতে কাজ করার তাগিদ 

নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০, ০৬:৪৩ পিএম

কারোর সহায়তায় নয়, নিজের শক্তিতে এসডিজির কাজগুলো করতে হবে। সেইসঙ্গে এসডিজি অর্জনে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে অতি দারিদ্র্য নির্মূল করতে হবে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) এ আয়োজিত কর্মশালার ‘ইম্প্লিমেন্টেশন অব দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বিস কার্যালয়ের কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ, বিআইআইএসএস-বিসের রিসার্চ ডিরেক্টর ড. মাহফুজ কবির, বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনিন আহমেদসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ২০৩০ সালে সম্পন্ন হবে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এর কার্যক্রম শুরু। এখানে লক্ষ্যমাত্রা আছে ১৭টি, টার্গেট আছে ১৬৯টি। বাংলাদেশ এমডিজিতে সাফল্য অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এসডিজিতেও সাফল্য অর্জন করবে।

বক্তারা আরও বলেন, বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের ৯০ লাখ মানুষের মতামত নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ এসব প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে দারিদ্র্য, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, লিঙ্গ বৈষম্য, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন— এসব ক্ষেত্রে কাজ করেছে। এসডিজির বিষয়গুলো সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকারসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের এসডিজির সাফল্য অর্জন করতে হবে।

কারোর সহায়তায় নয়, নিজের শক্তিতে এসডিজির কাজগুলো করতে হবে। দারিদ্র্যের বিষয়টি সবসময় গুরুত্ব পেয়েছে। এমডিজিতে এটা ছিল, এসডিজিতেও আছে। তবে এবার অতিদারিদ্র্যসহ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ২০৩০ সালের মধ্যে অতিদারিদ্র্য নির্মূল করতে হবে, বলেন কর্মশালার বক্তারা।

 

আগামীনিউজ/ইমরান/মামুন