ঢাকা : পদ্মাসেতু প্রকল্পে বারবার ব্যয়-সময় বাড়ানোর কারণ খুঁজছে সরকার। ঠিক কী কারণে সেতুর মেয়াদ-ব্যয় বাড়ানো হলো এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
এজন্য বাসস্থান ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনসালটেন্টস লিমিটেড এবং আইআরজি ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস লিমিটেড নামক দুটি ফার্ম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চার মাসে সেতুর সব বিষয়ে মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করতে ফার্ম দুটিকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা যেমন অর্থায়নে বিলম্ব, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিলম্ব, ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা ও প্রকল্পের বারবার মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর কারণসহ অন্যান্য দিক বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করা হবে।
সংশোধিত পদ্মাসেতু প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত চারবার সময় বাড়ানো হয়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের। এবার একধাপে সময় বাড়ছে দেড় বছর। অর্থাৎ, নতুন নির্ধারিত সময় অনুযায়ী প্রকল্পটি সম্পন্ন হবে ২০২১ সালের জুন মাসে। আগে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর সম্পন্ন হওয়ার সময়সীমা নির্ধারিত ছিল।
প্রথমে ২০০৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। এরপর সময় বেড়ে দাঁড়ায় ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আবারও ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পযর্ন্ত সময় বাড়ানো হয়। সবশেষ ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পটির সময় বাড়ানো হচ্ছে। ২০০৭ সালে একনেকে ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদিত হয়। ২০১১ সালে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। ২০১৬ সালে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি হয়ে যায়। ২০১৮ সালে বাড়তি যুক্ত হয় আরও ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, পদ্মাসেতু বাস্তবায়নে ত্রুটি-বিচ্যুতি ও সফলতাসহ সেতুর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল বিষয়ে মূল্যায়ন করা হবে।
এদিকে পদ্মাসেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্পের কাজটির সঙ্গে একাধিক দেশি-বিদেশি সংস্থা, এজেন্ট ও প্রতিষ্ঠান জড়িত। এজন্য তথ্য দলিলাদি প্রাপ্তির জন্য অনেকের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে। যা সময় সাপেক্ষ। কিন্তু সরকার দ্রুত সেতু শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটা সার্বিক চিত্র পেতে চায়।
আগামীনিউজ/সবুজ