করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নৌ ও স্থল বন্দরগুলোতে সতর্কতা বৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২, ২০২০, ০৪:২২ পিএম

ঢাকা : করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা ও বেনাপোল স্থলবন্দরসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব বন্দরে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরে দু’স্তরের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

সব বন্দরে থার্মাল ও কোয়ারেন্টাইন টেস্টের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জাহাজের ক্যাপ্টেন এবং এজেন্ট কর্তৃক জাহাজ বহির্নোঙরে আসার সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে যথাযথ ঘোষণা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এ বিষয়েও একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে আসা জাহাজগুলোতে শতভাগ নাবিকের পোর্ট হেলথ অফিসার কর্তৃক স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে নিরাপদ ঘোষণা করা হলে তবেই বন্দরে ঢোকার অনুমতি দেয়া হবে।

এছাড়া জাহাজ থেকে হাসপাতালে দ্রুত রোগী স্থানান্তরে জন্য বন্দরে ‘অ্যাম্বুলেন্স শিপ’ রাখা হয়েছে। বন্দর ইমিগ্রেশন ডেস্কে পোর্ট হেলথ অফিসারের তত্ত্বাবধানে একটি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। কোনও নাবিক বাইরে যেতে চাইলে মেডিকেল স্ক্রিনিংয়ে সুস্থতা সাপেক্ষেই শুধু অনুমতি দেয়া হবে। এছাড়া সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সবাইকে মাস্ক ব্যবহারসহ অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর এলাকায় কর্মরত চীনা নাগরিকদের নিজ দেশে যেতে এ মুহূর্তে ছুটি দেয়া হচ্ছে না। যারা ছুটিতে গেছেন তাদেরকে এখন না আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বন্দরে জাহাজে কর্মরতদের এ সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে।

বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়ন ঠিকভাবে করতে আরো আন্তরিক হতে প্রকল্প পরিচালকদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘নিয়মিত প্রকল্পের কাজ মনিটরিং করতে হবে। মনিটরিং সঠিকভাবে করতে পারলে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা যাবে।’

আগামীনিউজ/এমওয়াই/এস