রোজায় জনগণের দুর্ভোগ না হয় সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি : শিল্পমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম

ঢাকাঃ বাজারে কিছুটা অস্থিতিশীলতা আছে জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বাজার যেন স্থিতিশীল থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখার সঙ্গে সঙ্গে রোজায় যেন জনগণের দুর্ভোগ না হয় সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, সামনে রমজান মাস, স্বাভাবিকভাবেই সারাবিশ্বের মুসলমানরা এই পবিত্র মাস পালন করবেন। আমাদের বাজারে কিছুটা অস্থিতিশীলতা আছে। সেটি বিভিন্ন কারণে, বৈশ্বিক কারণে। চিনি আমরা আমদানি করি। আমাদের ১৭টি চিনির কল আছে, সেখানে যে কাঁচামাল আঁখ, সেটি উৎপাদন করতে বছর লাগে। কৃষকরা নিজেদের স্বার্থ অবশ্যই দেখবে। এছাড়া দীর্ঘকালীন ফসলটি উৎপাদন করতে চাচ্ছেন না অনেকে। চিনিকলগুলোতে অনেক জায়গা আছে। আমরা যদি বহুমুখী পদক্ষেপ না নেই তাহলে চিনি কলগুলো বোঝা হয়ে যাবে। সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা আধুনিকীকরণ, অন্যান্য ফসল যেমন ফ্রুটস প্রসেসিংসহ অনেক পরিকল্পনা নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের কিছু চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীসহ দেশীয় যারা উদ্যোক্তা তারাও সেখানে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, বেসরকারিভাবে যারা উৎপাদন করেন তারা বিদেশ থেকে কাঁচামাল এনে করেন। তাদের সঙ্গে আমরা বাজারে টিকি না। কারণ আমাদের মূল্য বেশি পড়ে যায়। সেজন্য আমরা এখন নতুন পন্থায় মিলগুলোকে আরও বাস্তবসম্মত করতে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস এখন আর চিনির অভাব হবে না।

তিনি বলেন, সামরিক বাহিনী, পুলিশসহ বিশেষ করে সরকারি যে বাহিনীগুলো আছে সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমাদের সুগার করপোরেশন থেকে চিনি সরবরাহ করে থাকি। বাইরের বাজারের জন্য আমাদের কিছুটা শর্ট পড়ে সেখানে প্রাইভেট যারা আছে টিসিবিসহ তারা আমদানি করে থাকে। তবে বাজার অনেকটাই স্থিতিশীল আছে। 

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাজারের পরিস্থিতিতে যেটুকু দাম বাড়ার সেটুকু বেড়েছে। আমার শিল্প মন্ত্রণালয় দামে যদিও সাবসিটি দিতে হয় তবুও ৪৫ টাকাই রেখেছি।

এম/