ঢাকাঃ মন্ত্রীর ‘সুনাম ক্ষুণ্ণের’ অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় খালাস পেয়েছেন সাংবাদিক প্রবীর সিকদার।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন আজ বৃহস্পতিবার ছয় বছর আগের এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে, যাদেরকে এ মামলায় ‘ভিকটিম’ বলা হয়েছে, তারা নিজেরা এ মামলা করেননি বা তাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজন কেউ এ মামলার বাদী নন। এমনকি তারা এ মামলায় সাক্ষীও ছিলেন না। মামলা করেছেন দূরের একজন, যার এ অভিযোগে মামলা করার এখতিয়ার নেই।
রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রবীর সিকদার বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।’
এর আগে গত ২২ মার্চ রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। এরপর ১ এপ্রিল মামলার রায় প্রস্তুত না হওয়ার কারণে আদালত ১১ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। এরপর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মামলাটির রায় আর হয়নি। তাই আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় মামলাটির রায় ঘোষণা করার জন্য ৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাংবাদিক প্রবীর সিকদার ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট ফেসবুকে তৎকালীন এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন।
এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট তার বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন জেলা পূজা উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা স্বপন পাল। এরপর ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক মো. মনির হোসেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই বছরের ৪ আগস্ট প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।