মুজিববর্ষের মধ্যে সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবি   

নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১৫, ২০২০, ০৩:৩৬ পিএম

ঢাকা : তামাশা বন্ধ করুন, মুজিববর্ষের মধ্যে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যার বিচার করতে হবে। না হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাংবাদিকরা।  

রোববার (১৫ মার্চ ) দুপুরে সাগর-রুনির হত্যার বিচারের দাবিতে সেগুনবাগিচার ডিআরইউ ভবনের সামনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্বারক লিপির প্রদানের আগে এক সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, সাগর-রুনি হত্যার আট বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত কোনো ক্লু বের করতে পারেনি প্রশাসন। আমরা কার ওপর ভরসা রাখবো ? তবে আস্থার জায়গা হলো প্রশাসনেও কিছু ভালো মানুষ আছেন, যাদেরকে ভরসা করা যায়। প্রযুক্তির যুগে কোনো অপরাধীকে আটক করা এক মুহুর্তের বিষয়, প্রশাসনের জন্য। আমরা মুজিববর্ষে আলোচিত এই ঘটনার বিচার দেখতে চাই।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ৮ বছরেই খুনিদের খুঁজে পান আইন-শৃখলা বাহিনীর সদস্যরা। আবার তারাই বলছে হত্যার কান্ডে দুই যুবক ছিলো। এটা কি কোনো কঠিন কাজ। মুজিববর্ষের মধ্যে সাগর-রুনির বিচার করুন। না হলে আন্দোলন হবে কঠোর। প্রযুক্তি দিয়ে তার মোবাইল নাম্বার ধরেই খুঁজে বের করতে পারেন। এটা শুধু তাদের ইচ্ছা পোষন করতে হবে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ বলেন, সাগর রুনির তদন্ত শেষ হয়নি। কবে শেষ হবে তদন্ত খেলা তা উত্তর পাইনি। দুই যুবক ছিলো তারা কারা এটা কি খুঁজে বের করতে বছর পার করবেন। এইভাবে তদন্ত খেলা খেলবেন না। হত্যাকারীদের বিচার করুন। তাহলে সাংবাদিক নির্যাতন বাড়বে না। কমে আসবে।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, সাগর-রুনির বিচার নিয়ে চলছে ধোঁয়াসা। সঠিক বিচার পাবে কিনা দুশ্চিন্তা হচ্ছে। সাংবাদিক কাজল নিখোঁজ হলো কোনো সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি পুলিশ। আমরা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা চাই। আমরা নিরাপত্তহীনতার মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা করছি। এদিকে রাষ্ট্রের দৃষ্টি দেয়া উচিত।

কামরুজ্জামান বাবলু বলেন, অপরিচিত সেই দুই পুরুষ কে, তাদের নেপথ্য কারা। কারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। মুজিববর্ষের মধ্যে বিচার শেষ করুন।

এ সময় ডিআরইউ’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, কাদের গনি চৌধুরি, সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, শহিদুল ইসলাম, ইকরামুল কবির টিটু, কামরুজ্জামান বাবলু  প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম গত আট বছরে পাঁচবার হাত বদল হয়েছে। চার্জশিট দিতে নেয়া হয়েছে ৭২ বার সময় ।

আগামীনিউজ/সুশান্ত/হাসি