ঢাকাঃ ২১ মার্চ, আজ ‘বিশ্ব কবিতা দিবস’। বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কবি ও কবিতা পাঠকদের দিন আজ। ১৯৯৯ সালে প্যারিসে ৩০ তম সাধারণ সম্মেলনের সময় বিশ্ব কবিতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল বিশ্বব্যাপী কবিতা পাঠ, রচনা, প্রকাশনা ও শিক্ষাকে উৎসাহিত করা। ইউনেস্কোর অধিবেশনে এই দিবস ঘোষণা করার সময় বলা হয়েছিল, ‘এই দিবস বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কবিতা আন্দোলনগুলোকে নতুন করে স্বীকৃতি ও গতি দান করবে।’
আগে অক্টোবর মাসে বিশ্ব কবিতা দিবস পালন করা হতো। প্রথম দিকে কখনো কখনো ৫ অক্টোবর এই উৎসব পালিত হলেও বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে রোমান মহাকাব্য রচয়িতা ও সম্রাট অগস্টাসের রাজকবি ভার্জিলের জন্মদিন স্মরণে ১৫ অক্টোবর এই দিবস পালনের প্রথা শুরু হয়।
এখনও অনেক দেশে অক্টোবর মাসে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কবিতা দিবস পালন করা হয়। এই দিবসের বিকল্প হিসেবে অক্টোবর অথবা নভেম্বর মাসের কোনো এক দিন কবিতা দিবস পালনেরও প্রথা আছে। তবে ইউনেস্কো ২০০০ সালের ২১ মার্চকে বিশ্ব কবিতা দিবস হিসেবে ঘোষাণা দিয়েছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এই দিনেই দিবসটি পালন করে থাকে। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় এ দিবসটি পালিত হয় এপ্রিল মাসে।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশেও বিভিন্ন কবিতা ও আবৃত্তি সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দিবসটিকে উদযাপন করার রীতি চালু হয়েছে। দিবসটিকে কেন্দ্র করে কবিতা সংশ্লিষ্ট আয়োজন নিয়ে বিভিন্ন টেলিভিশন মিডিয়াগুলোতেও অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছে।
বিশ্ব কবিতা দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল কবিদের সম্মান জানানো, কবিতা আবৃত্তির ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করা, কবিতা পড়া, কবিতা লেখা ও শিক্ষার প্রচার, নাট্য, নৃত্য, সংগীত ও চিত্রকলার মতো অন্যান্য শিল্পের সঙ্গে কবিতার সমন্বয়কে উৎসাহ দেওয়া এবং কবিতাকে বিভিন্ন মাধ্যমে জনপ্রিয় করে তোলা ইত্যাদি। তবে, যে দিনই হোক না কেন, কবিতা তার যোগ্য গুরুত্ব পাক এবং সারা বিশ্বে আরো জোরদার হোক কবিতা চর্চা।
আগামীনিউজ/এএস