অমর একুশে গ্রন্থমেলায় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শিশুপ্রহরে শিশুদের উপচে পড়া ভিড়। সকালের মিষ্টি রোদের উজ্জ্বলতাকে আরও রঙিন করে তোলে শিশুদের হাসিমাখা মুখগুলো।
সকালে বইমেলার শিশু চত্বর ঘুরে দেখা যায়, বাবা-মায়ের হাত ধরে শিশুরা নিজের পছন্দের বই দেখছে ও কিনছে। শেষ সময়ে ঢাকার বাইরে থেকেও অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের নিয়ে এসেছেন বইমেলায়।
ময়মনসিংহ থেকে কিশোর আশিক উল্লাহ বিজয়কে নিয়ে মেলায় এসেছেন তার বাবা এনায়েত উল্লাহ। এই ব্যাংক কর্মকর্তা নিজেও প্রথমবার এসেছেন বইমেলায়। কথা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, বইমেলার পরিসর অনেক বড়। গণমাধ্যমে যা দেখি, তার থেকেও বড়। ছেলের শখ বইমেলা আসা। তাই সেই শখ পূরণ করতেই তাকে নিয়ে আসা, সঙ্গে নিজেও চলে এলাম।
আশিক উল্লাহ বিজয় বলেন, বইমেলায় এসে ভালো লাগছে। আমি গণিত এবং বিজ্ঞানের কিছু বই কিনেছি এবং সারাদিন মেলা ঘুরে আজ আরও অনেক বই কিনবো।
এভাবে আশিক উল্লাহ বিজয়ের মতো অসংখ্য শিশুরা এসেছে বইমেলায়। শুক্রবার শিশুপ্রহর হওয়ায় এদিন অন্যান্য দিনের চেয়ে শিশুদের উপস্থিতি বেশি থাকে।
এদিকে ছুটির দিনের সকাল থেকেই শিশুচত্ত্বরে বইয়ের বিকিকিনি ভালো বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন প্রকাশক। পঙ্খিরাজ প্রকাশনীর প্রকাশক দেওয়ান আজীজ বলেন, সকাল থেকেই শিশুদের উপস্থিতির পাশাপাশি বইয়ের বিক্রিও বেশ ভালো। মেলা এখন শেষ সময়ে থাকায় যারাই মেলা আসছেন, তারা সবাই প্রায় বই কিনছেন। আর ছোটদের বইগুলোর মধ্যে গল্পের বইয়ের প্রতিই শিশুদের ঝোঁক বেশি।
এদিকে শিশু চত্বরে বই কেনার পাশাপাশি আগত সোনামোণিরা উপভোগ করছে সিসিমপুরের আয়োজনে বিশেষ পরিবেশনা। শিশুদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের বাবা-মায়েদেরও বেশ আনন্দ ও উদ্দীপনা নিয়ে সিসিমপুরের আয়োজন উপভোগ করতে দেখা গেছে।
আগামীনিউজ/মামুন