ঢাকাঃ আবহাওয়া পরিবর্তিত হচ্ছে। খোলা আকাশের নিচে দাঁড়ালেই টের পাওয়া যাচ্ছে হিম। ত্বকে ধরতে শুরু করেছে টান। শীতের এই সময় শিশুদের বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, একটু ঠান্ডা লাগলেই শিশুরা জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে । এই সমস্যা থেকে বাঁচাতে কী করবেন তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে শিশুদের খাবারে যাতে ভিটামিন সি ও আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। যেমন-লেবু, টমেটো, স্ট্রবেরি, ব্রকলি জাতীয় খাবার খাওয়াবেন। আবার শীতের তাজা সবজিও খাবারে দেবেন।
ঠান্ডা লাগলে শিশুকে যত কম মাংস খেতে দেবেন, ততই ভাল। কারণ মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এতে গলার ভিতরে মিউকাসের সৃষ্টি হতে পারে। ফলে শিশুর অস্বস্তি বাড়বে।
শিশুর জন্য ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজন। বলা হয়, শিশুদের অন্তত ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। এতে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
শীতকালে শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর জোর দিতে হবে। নিয়মিত তারা যেন গোসল করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে ঠান্ডা পানি নয়, হালকা গরম পানি দিয়ে তাদের গোসল করাতে হবে। এতে শরীর চাঙ্গা থাকবে। শিশু বেশি ছোট হলে তাকে রোদে গরম করা পানি দিয়ে গোসল করাতে পারেন।
চকোলেট, ক্যান্ডি, মিষ্টি শিশুর জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর। বিশেষ করে ঠান্ডার সময়। বেশি মিষ্টতা রক্তে হোয়াইট ব্লাড সেলস তৈরির গতি কমিয়ে দেয়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে সহজে ঠান্ডা লাগতে পারে। তাই চকোলেট, ক্যান্ডি, মিষ্টি শিশুর থেকে একটু দূরেই রাখেন।
ঠান্ডার এই সময়ে শিশুকে বাইরে খেলতে পাঠান। এতে যেমন শরীরচর্চা হবে, তেমনই মন ভাল থাকবে। তবে সন্ধের আগেই তাদের বাড়ি ফিরে আসতে বলে হবে।
ঠান্ডার সময় শিশুদের পানি খাওয়া কমে যায়। কতটা পরিমাণ পানি এই সময় শিশুর শরীরের পক্ষে আবশ্যক তা খেয়াল রাখুন। সেই পরিমাণ পানিই তাকে দিন। এতে শিশুর শরীরে ভারসাম্য বজায় থাকবে।
বুইউ