ঢাকাঃ চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রাচীনকাল থেকেই মস্তিষ্কের যে অংশটি স্ট্রেস, অ্যাংজাইটি, ভয় ও বিষণ্ণতা নিয়ন্ত্রণ করে তার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে অ্যারোমাথেরাপি। অবসাদ কমাতে এবং মানসিক স্বাস্থ্য চাঙ্গা রাখতে অ্যারোমাথেরাপি অত্যন্ত কার্যকরী।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) এর মতে, সারা পৃথিবীতে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন মানুষ ডিপ্রেশনে ভুগছেন। প্রতিনিয়ত এই সংখ্যা বেড়েই চলছে। সাধারণত ঔষধ, থেরাপি ও কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে ডিপ্রেশনের চিকিৎসা করা হয়।
কেউ কেউ দাবি করেন, 'হালকা ডিপ্রেশনের উপসর্গগুলোকে কমাতে সাহায্য করে অ্যারোমাথেরাপি।'
বিভিন্ন উদ্ভিদ, মশলার নির্যাস তেল (অ্যাসেন্সিয়াল অয়েল) বা সুগন্ধি ব্যবহারের মাধ্যমে অ্যারোমাথেরাপি করা হয়।
এসেনশিয়াল অয়েল এক ধরণের উদ্বায়ী তেল যাতে সুগন্ধি অণু থাকে এবং এটি রক্ত বা মস্তিষ্কের বাঁধাকে অতিক্রম করে শরীর ও মন সুস্থ রাখে। তবে ব্যবহার করার সময় অন্য কোনো বাহক তেলের সাথে সঠিক পরিমাণে জেনে করুন।
কাজের চাপ, টেনসন, উৎকণ্ঠা, হতাশা, উচ্চ রক্তচাপের কারণে সমস্যায় রাতে ঘুম না হওয়ার সমস্যা হয়। এসেনশিয়াল অয়েল, মাসাজ, অ্যারোমাথেরাপি তা সমাধান করতে পারে। এতে মানসিক উদ্বেগ, ক্লান্তি ও অবসাদ দূর হয়, রাতে ভালো ঘুম হয়, মন শান্ত হয়, আত্মবিশ্বাস বাড়ে ও ত্বকের বলিরেখা দূর করে তারুণ্য ধরে রাখে।
ঘরে যেভাবে অ্যারোমাথেরাপি নিবেন
• কালোজিরার তেল স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করলে চুল ঘন ও লম্বা হয়
• বেসিল তেল ত্বকে জেল্লা এনে দেয় ও স্পর্শকাতর ত্বককে একেবারে জীবাণু মুক্ত রাখে
• প্রতিদিনের গোসলে ছেড়ে দিন কয়েকটি গোলাপের পাপড়ি
• বাড়তি সুগন্ধি ব্যবহার না করেও থাকতে পারবেন সুরভিত-স্নিগ্ধ আর উচ্ছল
• ঘুমোনোর আগে বিছানায় কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল বা চন্দন তেল ছড়িয়ে নিন। চন্দনের সুবাস এক নিমেষে ক্লান্তি দূর করে ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যাবেন।
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অ্যাসেন্সিয়াল অয়েল বাজারে পাওয়া যায়। ছোট বোতলে দাম একটু বেশি মনে হতে পারে, তবে সৌন্দর্য ও সুস্থতার তুলনায় কিন্তু বেশি নয়। আর এই তেলগুলো পরিমাণে খুবই কম লাগে, কেনার সময় অবশ্যই ভালোমানের আসল পণ্য কিনুন।