ঢাকাঃ মানুষ আবারও ফিরে যেতে চাইছে প্রকৃতির কাছে। বিশেষ করে রূপচর্চায়। কারণ, কৃত্রিম রাসায়নিকে তৈরি সৌন্দর্যপণ্যগুলো সাময়িকভাবে দারুণ কার্যকর হলেও এর রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব। জেনে নিচ্ছেন প্রসাধনীর সঙ্গে পরিমাণমতো প্রাকৃতিক উপাদান মিশিয়ে কীভাবে প্রসাধনীর রাসায়নিক উপাদানের প্রভাব কিছুটা হলেও কমানো যায়।
* এক টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ মাইল্ড শ্যাম্পু ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণ কিছু সময় মাথার ত্বকে আলতোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এবার ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
* আধ টেবিল চামচ খাঁটি মধু দুই টেবিল চামচ শ্যাম্পুর সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে শ্যাম্পু করে নিন। তবে প্রতিদিন চুলে মধু ব্যবহার করলে চুলের রং হালকা হয়ে যাবে।
* খানিকটা নারকেল তেল ও লেবুর রস একত্রে মেশান। এবার মিশ্রণটি ধীরে ধীরে চুলের গোড়ায় মাখুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার পর কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। সপ্তাহে একবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন। এভাবে ছয় সপ্তাহ ব্যবহার করুন। এতে চুল পড়া বন্ধ হবে।
* এক টেবিল চামচ তাজা অ্যালোভেরা জেল ও দুই টেবিল চামচ ন্যাচারাল শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন। এবার শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন।
* অলিভ অয়েলের সঙ্গে তিন টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস মেশান। এ মিশ্রণ হাতে নিয়ে চারপাশ থেকে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিন। দুই ঘণ্টা রেখে কম ক্ষারযুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুলের শক্তি বৃদ্ধিতে এবং খুশকি কমাতে এটি দারুণ কার্যকর।
* এক টেবিল চামচ অরগানিক গোলাপজল ও দুই টেবিল চামচ শ্যাম্পু একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি ব্যবহার করুন।
* ন্যাচারাল শ্যাম্পুর সঙ্গে সামান্য গ্লিসারিন মিশিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে শ্যাম্পু করে নিন। ভালো করে চুল ও মাথার ত্বক ধুয়ে নিন।
* দুই টেবিল চামচ শ্যাম্পুর সঙ্গে এক টেবিল চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। এবার শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন। প্রতি চারবার ধোয়ার পরপর এটি করে নিতে পারেন, যাতে ওভার এক্সফোলিয়েট না হয়ে যায়।
* আধা টেবিল চামচ আমলকীর রস ও দুই টেবিল চামচ রেগুলার শ্যাম্পু মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
* তিন থেকে পাঁচ ফোঁটা পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল দুই টেবিল চামচ হারবাল শ্যাম্পুতে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।