ঢাকাঃ যে চুম্বন নিয়ে চোখ রাঙানির অভাব নেই, তা-ই বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। নতুন এক গবেষণাপত্র এমনই বলছে।
গত এক বছরে চুম্বন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অঢেল। করোনা-আতঙ্ক কোনও কসুর ছাড়েনি তাতে। সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকুক, না-ই বা থাকুক, কিন্তু চুম্বন নৈব নৈব চ। শুধু একটি চুম্বনই নাকি পৌঁছে দিতে পারে ১৪ দিনের গৃহ-হাজতে। সে সব তত্ত্বকেই চ্যালেঞ্জ জানাল নতুন এই গবেষণা। বলল, ব্যাক্টিরিয়ার আদান-প্রদান ঘটে চুম্বনের মাধ্যমে। শরীরে পৌঁছে সেই সব ব্যাক্টিরিয়াই বাড়িয়ে দিতে পারে রোগ থেকে বাঁচার শক্তি।
মানুষ চুমু কেন খায়? তা জানতেই, নেদারল্যান্ডস্ অর্গানাইজেশন ফর অ্যাপ্লায়েড সাইন্টিফিক রিসার্চের এক দল বিজ্ঞানী শুরু করেছিলেন গবেষণা। সেই কাজই তাঁদের এগিয়ে নিয়ে যায় শরীরের প্রতিরোধ শক্তি নিয়ে ভাবনার দিকে। চুমু খাওয়ার সময়ে দু’জনের জিভ স্পর্শে আসে। এক জনের লালা পৌঁছোয় অন্যের শরীরে। নেদারল্যান্ডদের ওই বিজ্ঞানীদের দাবি, ১০ সেকেন্ডের চুম্বনে ৮ কোটি ব্যাক্টিরিয়া বিনিময় হয় একটি যুগলের মধ্যে। সম্ভাব্য সঙ্গীর সঙ্গে সেই ব্যাক্টিরিয়া দেওয়া-নেওয়া হয়ে গেলে শক্তিশালী হয়ে ওঠে শরীর। রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। অর্থাৎ, হাল্কা বন্ধুত্বপূর্ণ আদর-আহ্লাদ জরুরি শুধু সঙ্গীর সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত আনন্দের করে তুলতেই নয়, শরীর সুস্থ রাখতেও। কে বা জানত সে কথা!
কোনও একটি যুগলের মধ্যে দিনে আট-ন’বার চুম্বন বিনিময় হলে, তাঁদের শারীরে একই ধরনের জীবাণু উপস্থিত থাকে। অর্থাৎ, একই ধরনের রোগের সঙ্গে লড়ার জন্য তৈরি থাকেন তাঁরা। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে চুম্বনের সম্পর্ক নিয়ে এর আগে গবেষণা হয়নি। তবে আগে অনেক বিজ্ঞানীই জানিয়েছেন যে, শরীর যত ধরনের ব্যাক্টিরিরার সঙ্গে পরিচিত হবে, ততই বাড়বে রোগের সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা। চুম্বন সেই কাজটাই করে। এক ব্যক্তির শরীরে উপস্থিত ব্যাক্টিরিয়া আর এক জনের দেহে যায়। এর মাধ্যমে রোগ ছড়ানোর আতঙ্ক অনেকেই প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আসলে চুম্বন দু’জনেরই ভাল করে।
ফলে দিনে বারুক চুম্বনের সংখ্যা। লজ্জা কী? শরীর ভাল রাখার জন্য কী না করতে হয়!
আগামীনিউজ/নাসির