তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে ঘরে তৈরি ময়েশ্চারাইজার

লাইফস্টাইল ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০, ১১:২৭ এএম

শুষ্ক, তৈলাক্ত কিংবা মিশ্র- সকল প্রকার ত্বকেই কমন কিছু সমস্যা দেখা দেয়। আবহাওয়া বদলের সঙ্গে এই সমস্যাগুলোর ধরণ ও প্রবণতা ওঠানামা করে। তবে তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে সমস্যার মাত্রাটি একটু বেশিই হয়।

তৈলাক্ত ত্বকে একনের প্রবণতা থাকে সবচেয়ে বেশি। কারণ ত্বকের তেলের সঙ্গে খুব সহজেই বাইরের ধুলাবালি ও ময়লা আটকে যায়। এছাড়া ত্বক সর্বদা তৈলাক্ত হয়ে থাকায় ত্বকের জন্য উপযুক্ত ময়েশ্চারাইজার পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য বিষয়।

সেক্ষেত্রে সহজলভ্য কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান দিয়ে ঘরেই তৈরি করে নেয়া যাবে তৈলাক্ত ত্বকের ময়েশ্চারাইজার। দেখে নিন দুইটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘরানার তৈলাক্ত ত্বকের দুইটি ময়েশ্চারাইজার তৈরির পদ্ধতি।

গোলাপ ফুলের পাপড়ির ময়েশ্চারাইজার
এই ময়েশ্চারাইজারটি তৈরিতে প্রয়োজন হবে - এককাপ গোলাপের পাপড়ি, গোলাপজল, অ্যালোভেরার রস। ময়েশ্চারাইজারটি তৈরি করতে প্রথমে একটি পাত্রে অল্প পরিমাণ গোলাপজল ও গোলাপ ফুলের পাপড়ি নিয়ে ফুটাতে হবে। পানিতে কয়েকবার বলক আসলে ছেঁকে নিতে হবে। এই তরলের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে। মিশ্রণটি ঘরোয়া তাপমাত্রায় চলে আসলে বায়ুরোধী কাঁচের পাত্রে ঢেলে সংরক্ষণ করতে হবে এবং নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।

রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা হলে ১৫-২০ দিন পর্যন্ত এই ময়েশ্চারাইজারটি ভালো থাকবে। গোলাপ ফুলের পাপড়ি সমৃদ্ধ এই ময়েশ্চারাইজারটি ত্বকের ব্রণ ও একনের সমস্যা কমাতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে।

দুধ-অলিভ অয়েল ময়েশ্চারাইজার
দারুণ এই ময়েশ্চারাইজারটি তৈরিতে প্রয়োজন হবে এক কাপের দুই-তৃতীয়াংশ দুধ, ২-৩ চা চামচ লেবুর রস, ২-৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল। ময়েশ্চারাইজারটি তৈরির জন্য প্রয়োজন হবে একটি পরিষ্কার কাপ। কাপে পরিমাণমতো দুধের সঙ্গে অলিভ অয়েল ও লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, সকল উপাদান যেন ভালোভাবে মিশ্রিত হয়।

এই ময়েশ্চারাইজারে থাকা দুধ ত্বককে কোমল করতে কাজ করবে ও অলিভ অয়েল ত্বকের pH এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে। এছাড়া লেবুর রস ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি কমাতে ও ত্বকের দাগ দূর করতে কাজ করবে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এটা সবচেয়ে ভালো একটি ময়েশ্চারাইজার। ঘরে তৈরি এই ময়েশ্চারাইজারটি রেফ্রিজারেটরে সর্বোচ্চ ১০ দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।

আগামীনিউজ/হাসি