শীতে সামান্য জ্বর হলেই অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খেতে শুরু করেন। আবার প্রতিদিনের কাজ করতে গিয়ে কোথাও ব্যথা পেলে বা কেটে গেলেই অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করেন।
খুব জরুরি অ্যান্টিসেপটিক বা অ্যান্টিবায়োটিক কিন্তু আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে। প্রাকৃতিক নানা উপাদান থেকেই আমরা এগুলো পেতে পারি।
আসুন জেনে নেই:
হলুদ
হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান। এগুলো ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে কাজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধেও কাজ করে।
আদা
আদা বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা প্রতিরোধে আদা খুব ভালো ঘরোয়া উপাদান।
গোলমরিচ
ক্ষতস্থানে গোলমরিচ গুঁড়া লাগানোর ১০ থেকে ১২ সেকেন্ডের মধ্যে রক্তপাত বন্ধ হয়। ক্ষত সারাতে একগ্লাস পানিতে এক চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
অ্যালোভেরা
পুড়ে গেলে অ্যালোভেরা জেল লাগানো হয়। কাটাছেঁড়াতেও এটি বিশেষ কার্যকরী। কাটাস্থানে প্রতি দু’ঘণ্টা পর পর অ্যালোভেরা জেল লাগান। খুব দ্রতই ভালো হবে।
মধু
মধুও আরেকটি চমৎকার অ্যান্টিবায়োটিক। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন হওয়াকে ব্যাহত করে।
এক গ্লাস দুধে আধ চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ফোটাতে থাকুন। ২ চা চামচ মধু এবং সামান্য গোল মরিচের গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটা বেশ গাঢ় হবে। দিনে দু থেকে তিনবার খেলে বুকের কফ দূর হয়ে যাবে।
এক গ্লাস পানিতে ১ টেবিল চামচ আদা কুচি মিশিয়ে, ঢাকনা দিয়ে ৫ মিনিট মতো জ্বাল দিন। অল্প মধু মেশান। দিনে তিনবার এই মিশ্রণ পান করুন। ঠাণ্ডা-সর্দি দূর করবে। যেকোনো সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে আর ফুসফুস পরিষ্কার রাখতেও এর জুড়ি নেই।মধুর সঙ্গে এক চা চামচ আদা কুচি, গোল মরিচের গুঁড়া এবং লবঙ্গের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটা নিয়মিত পান করলে শরীর থেকে টক্সিন (বিষাক্ত পদার্থ) বের করে দেয়।
এসব খেয়ে কয়েক দিনেও যদি সুস্থ না হন, তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আগামী নিউজ/এসএম