ঢাকাঃ রাজধানীর ডেমরা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের করা মামলায় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রতিষ্ঠাতা শামিন মাহফুজের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে তার স্ত্রী নাজনীন সুলতানার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
শনিবার (২৪ জুন) আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর ডেমনা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীর এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শুক্রবার (২৩ জুন) রাতে রাজধানীর ডেমরা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটা মামলা করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য নিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামে নতুন জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলেন শামিন মাহফুজ। ২০২২ সালে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পরে জঙ্গি নেতা শামিন মাহফুজ সস্ত্রীক আত্মগোপনে চলে যান। তখন তিনি বান্দরবানের গভীর পাহাড়ে আস্তানা গাড়েন।
শামিন মাহফুজ জঙ্গি কর্মকাণ্ডের জন্য বান্দরবানের মানুষের কাছে বেশ পরিচিত নাম। ২০১১ সালের পর সাম্প্রতিক সময়ে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সহযোগিতায় আবারও বান্দরবানের রুমা উপজেলায় জঙ্গি প্রশিক্ষণকেন্দ্র করার খবর প্রকাশ হলে আলোচনায় আসেন এ জঙ্গি নেতা।
২০১১ সালের ২৮ মার্চ থানচির বলিপাড়ার কলাইপাড়া এলাকা থেকে শামিন মাহফুজ ও তার সহযোগী ইসমাইল হোসেনকে আটক করেছিল পুলিশ। সেসময় তিনি জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) দলনেতা ছিলেন। ওইসময় অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় বান্দরবানজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
জঙ্গি দমনে নড়েচড়ে বসে নিরাপত্তা বাহিনী। পরে পাহাড়ে একের পর এক অভিযান চালানো হয়। এরপর জামিনে বেরিয়ে পেছন থেকে সংগঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন শামিন মাহফুজ।
বুইউ