ঢাকাঃ দেড় কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় গ্রেফতার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালকের (মানিলন্ডারিং) পিএ গৌতম ভট্টচার্যসহ চারজনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডকৃত অপর আসামিরা হলেন- চাকরিচ্যুত পুলিশ কনস্টেবল মো. এসকেন আলী খান, হাবিবুর রহমান ও পরিতোষ মন্ডল।
শনিবার (২৪ জুন) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুহুল আমীন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবীর তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শুক্রবার মতিঝিল হোটেল থেকে তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে মিষ্টির চারটি প্যাকেট, নগদ দেড় লাখ টাকা, চারটি মোবাইল ফোন, দুদকের মনোগ্রাম দেওয়া খাকি রঙের একটি খাম ও দুদকের একটি নোটিশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় অন্যের রূপ ধারণ করে প্রতারণা ও ভয়ভীতি প্রর্শনের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়।
শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ভুয়া অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে দুদকের নামে চিঠি ইস্যু করে তাকে হয়রানি করা হচ্ছিল। এ চক্রে আছেন দুদকের মহাপরিচালকের পিএ, পুলিশ সদস্য (বরখাস্ত) এসকেন আলী খান ও দুই দালাল হাবিবুর রহমান, পরিতোষ মন্ডল।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকার ব্যবসায়ী আশিকুজ্জামান। দুর্নীতির দমন কমিশনের (দুদক) নামে তাকে একটি চিঠি দেয় দালাল চক্র। চক্রটি আশিকুজ্জামানকে জানায়, তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছে। এ মামলা থেকে বাঁচানোর কথা বলে চক্রটি প্রথমে তার কাছে ৫ কোটি ও পরে ২ কোটি টাকা দাবি করে।
এরপর চক্রটি ভুক্তভোগীকে মিষ্টির প্যাকেটে টাকা নিয়ে মতিঝিলের একটি হোটেলে আসতে বলে। এ বিষয়ে আগে থেকে গোয়েন্দা নজরদারি চালাচ্ছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। পরে দাবি করা টাকা নিতে চক্রের চার সদস্য হোটেলে আসলে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বুইউ