ডা. সাবরিনার হাইকোর্টে জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৫, ২০২৩, ০৭:১৭ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ করোনাভাইরাস মহামারির সময় নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় ১১ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত জে কে জি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিন চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

সোমবার (৫ জুন) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদের চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে সাবরিনার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

পরে আইনজীবী মাসুদুল হক বলেন, সাবরিনা অন্যান্য মামলায় আগেই জামিন পেয়েছেন। আজকের প্রতারণার মামলায় জামিন পাওয়ায় তার মুক্তিতে বাধা নেই।

এর আগে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আপিল করেছিলেন ডা. সাবরিনা। 

আজ সেই আপিলের শুনানি নিয়ে আগামী ২০ জুন পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত। কিন্তু ডা. সাবরিনার আইনজীবী হজে চলে যাবেন মর্মে আজ জামিন আবেদনের শুনানি হয়েছে।

এর আগে করোনার ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, তাঁর স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। গত বছরের ১৯ জুলাই অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) তোফাজ্জল হোসেন এ রায় দেন। দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন জেকেজির সমন্বয়ক সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির সাবেক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, তাঁর স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম ও জেবুন্নেসা।

করোনার নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল, কর্মচারী হুমায়ুন কবির, তাঁর স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানার পুলিশ। পরদিন হুমায়ুন ও তানজিনা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। একই বছরের ১২ জুলাই সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

জালিয়াতির ঘটনায় কামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। তদন্ত করে ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট সাবরিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

​​​​​বুইউ