ঢাকা : দূষণের কারণে রাজধানী ঢাকাকে প্রতিবেশ সঙ্কটাপন্ন (ইকোলোজিক্যাল ক্রিটিকাল এরিয়া) ঘোষণা করার উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও মোহাম্মদ উল্লাহর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আমাতুল করিম।
এছাড়াও সুয়ারেজের লাইন নিয়ে আদালতকে ভুল তথ্য দেওয়ায় ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দিন ধার্য্য রেখেছেন হাইকোর্ট।
বুড়িগঙ্গার দূষণরোধ নিয়ে যে মামলা চলছে সেখানে শ্যামপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকার বিভিন্ন শিল্প কারাখানার মালিক যুক্তি উত্থাপন করছে যে, তারা এখানে যে ব্যবসা করছে, সে ব্যবসা অব্যাহত রাখার আইনগত অধিকার তাদের আছে।
তারা বলছে, হাইকোর্ট এর আগে ২০১২ সালে একটি অর্ডার দিয়েছিলো। ওয়াসাকে জমি দিতে বর্জ্য শোধনাগার প্ল্যান্ট বা ইটিপি (ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) স্থাপন করার জন্য। পরে ইটিপি ছাড়া অবৈধভাবে চলা শিল্প কারাখানা উচ্ছেদে পরিবেশ অধিদফতর যখন নোটিশ দিয়েছিলো। তখন সেটিকে চ্যালেঞ্জ করে তারা উচ্চ আদালতে এসেছিল।২০১৬ সালে আপিল বিভাগ বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দিয়ে বলেছিলো, পরিবেশ অধিদফতরের উচ্ছেদ নোটিশ বৈধ এবং ইটিপি ছাড়া কোনো শিল্প-কারাখানা চালানো যাবে না।’
আদালত এই শুনানির মধ্যেই বলেন, বর্তমানে ঢাকাকে বিশ্বের এক নম্বর দূষিত শহর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবেশ আইনেতো আছে যদি এই রকম দুরাবস্থা হয়, সেক্ষেত্রে ইকোলোজিক্যাল ক্রিটিকাল এরিয়া ঘোষণা করার বিধান আছে। এখন যেহেতু ঢাকা সবচেয়ে দুষিত নগরী, তাই গোটা ঢাকা শহরটাকেই ইকোলোজিক্যাল ক্রিটিক্যাল এরিয়া ঘোষণার সময় এসেছে।
বুড়িগঙ্গার পানি দূষণরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ওই রিট করা হয়েছিলো। সে রিটের শুনানি শেষে তিন দফা নির্দেশনা দিয়ে ২০১১ সালের ১ জুন রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের শুরুতে ওই রায় বিষয়ে হাইকোর্টে আরেকটি সম্পূরক আবেদন করা হয়।
আগামীনিউজ/আপি/এস