স্ত্রীর মামলায় ক্রিকেটার আল আমিনের বিচার শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ৫, ২০২৩, ০১:০৫ পিএম

ঢাকাঃ নির্যাতন ও যৌতুকের জন্য মারধরের দায়ে স্ত্রী ইশরাত জাহানের করা মামলায় ক্রিকেটার আল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে দিয়ে মামলাটিতে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

রোববার (৫ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আল আমিন আদালতে উপস্থিত হয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। সাক্ষীর জন্য আগামী ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রেজাউল করিম বিষয়টি জানিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক সোহেল রানা।

তখন আদালত অভিযোগপত্র দেখিলাম বলে স্বাক্ষর করেন। মামলাটির পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ বদলির আদেশ দেন।

গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর নির্যাতন ও মারধরের অভিযোগ এনে ক্রিকেটার আল আমিনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ইসরাত জাহান একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরের দিন তদন্ত ও যাচাই-বাছাই শেষে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ ইসরাত জাহানের অভিযোগটি মামলা আকারে নথিভুক্ত করে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের সঙ্গে ইসরাত জাহানের বিয়ে হয়। এ দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত সংসারকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আল-আমিন তার স্ত্রী ইসরাতের কাছে ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধ বাবদ ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।

ইসরাতের বৃদ্ধ বাবা যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আল-আমিন তাকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন। বেশ কয়েকবার মারধরের পর তিনি (ইসরাত) আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেন। কিন্তু দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পারিবারিকভাবে আপস-মীমাংসা করে নেন। এতে আল-আমিন শান্ত না হয়ে দিনের পর দিন তার ওপর অত্যাচারসহ শারীরিক নির্যাতন অব্যাহত রাখে।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২৫ আগস্ট আল-আমিন তার স্ত্রীর কাছে যৌতুকের দাবি করা টাকা নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। তার স্ত্রী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন।

আল-আমিন জানিয়ে দেন, তার (ইসরাত) সঙ্গে সংসার করবেন না, তাকে তালাক দেবেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেন। পরে ইসরাতের চাচা তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলে আল-আমিন তার সঙ্গে আগের মতো আচরণ করতে থাকেন।

বুইউ