ঢাকাঃ জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেফতার জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানকে সাতদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ফের আটদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে সাতদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় তাকে রাখা হয় সিএমএম আদালতের হাজতখানায়।
এদিন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে আটদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন কাউন্টার টেরোরিজমের পরিদর্শক আবুল বাশার। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টায় রাজধানীর উত্তরা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে।
গত ৯ নভেম্বর শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। ছেলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শফিকুর রহমান জামায়াতের আমির হিসেবে শপথ নেন বছর তিনেক আগে। এরপর ২০২৩-২৫ কার্যকালের জন্য ডা. শফিকুর রহমান আবারও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হন।
গত ২৭ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর অফিস সেক্রেটারি আ ফ ম আবদুস সাত্তার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
শফিকুর রহমানের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায়। তিনি সিলেট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। একসময় ছাত্রশিবিরের সিলেট শহর শাখার সভাপতি ছিলেন।
বুইউ