ঢাকাঃ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে মামলাটি চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ধার্য ছিল।
এদিন সম্রাট আদালতে উপস্থিত হন। এসময় তার আইনজীবী স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী স্থায়ী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন বহাল রাখেন। অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্যও সময়ের আবেদন করা হয়। পরে আদালত আগামী ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
দুদকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভবনটি থেকে বিপুল বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়।
বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরের দিন ৭ অক্টোবর র্যাব-১-এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১-এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। এছাড়া একই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১-এর এসআই আব্দুল হালিম।
ওই বছরের ১২ অক্টোবর রমনা থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এমএম