দণ্ডিত এনামুল বাছিরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২, ০২:৪৯ পিএম

ঢাকাঃ ঘুষ গ্রহণের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের জামিন আবেদন কার্যতালিকা (কজলিস্ট) থেকে বাদ (আউট অব লিস্ট) দিয়ে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের একক বেঞ্চ তার আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।

আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানিতে আইনজীবী ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। আর আসামির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ফারুখ আলমগীর চৌধুরী।

এর আগে এনামুল বাছিরের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন আবেদন করেন আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী। তারও আগে গত ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে খন্দকার এনামুল বাছিরকে জামিন দিলেও পরে সেটি বাতিল করে দেন চেম্বারজজ আদালত।

২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। এরপর ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দিয়েছিলেন তিনি। ডিআইজি মিজানও এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন।

এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদকের সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে সংস্থাটি। কমিটি ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।

এরপর ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ মানি লন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দায়ের করেন। একই বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে। অপরদিকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার ডিআইজি মিজানকে এ মামলায়ও গ্রেফতার করা হয়।

এরপর চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঘুষ নেওয়ার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন।

পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল এবং জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান দুদকের বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।

এমবুইউ