ঢাকা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ধর্ষক মজনু। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত থেকে বের করে হাজতখানায় নেয়ার সময় ছবি উঠানোকে কেন্দ্র করে খুবই ক্ষিপ্ত মেজাজে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন মজনু। এরপর পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তায় হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এই জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর মজনুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সাত দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আবু সিদ্দিক আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এরপর আসামি মজনু স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার মজনুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানার কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ৪০-৫০ গজ সামনে আর্মি গলফ ক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছায় ভিকটিম। এরপর আসামি পেছনের দিক থেকে ভিকটিমের গলা ধরে ফুটপাতে ফেলে দেয় এবং গলা চেপে ধরে। ভিকটিম চিৎকার করতে গেলে আসামি তাকে কিল-ঘুষি মেরে ভয়ভীতি দেখালে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন মজনু ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ৬ জানুয়ারি সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।
আগামীনিউজ/নিআ/এস