সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ঘোষিত চূড়ান্ত ফলাফল কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ওই ফলাফল বাতিল করে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করে নতুন ফলাফল ঘোষণার বিষয়ে জানতে চেয়েও আদালত রুল জারি করেছেন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর ও রহিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রুল জারি করেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে ১০ দিনের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
এর আগে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলির ষাট শতাংশ মহিলা প্রার্থীদের দ্বারা, বিশ শতাংশ পৌষ্য প্রার্থীদের দ্বারা এবং বাকী বিশ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হবে। কিন্তু ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। ওই ফলাফলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করা হয়।
পরে ভুক্তভোগী ১৬জন নিয়োগপ্রার্থী ওই ফলাফলের বৈধতা নিয়ে রিট করেছেন। ওই রিটের শুনানি করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আগামী নিউজ/ আপি/ হাসি