ঢাকাঃ সয়াবিন তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যারা কুক্ষিগত করে রেখে জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টিকারীদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। রোববার (১৩ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
ভোজ্যতেল সয়াবিনের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মনিটরিং সেলের পাশাপাশি নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানির সময় এমন মন্তব্য করেন আদালত। একইসঙ্গে সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দায়ের করা রিটের আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন তিন রিটকারী অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, সৈয়দ মহিদুল কবীর ও মোহাম্মদ উল্লাহ।
আদালত রিটকারী আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, সামনে রমজান মাস আসছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে পারে। শুধু সয়াবিন তেল নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের কথা রিটে অন্তর্ভুক্ত করুন। এমন আদেশ দিতে হবে যেন দেশের প্রত্যেকটা নাগরিকের উপকার হয়। টিসিবির নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণে নীতিমালা করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন আদালত। পরে এ রিটের আদেশের জন্য ১৪ মার্চ দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ৮ মার্চ এ আবেদনের উপর করা হয়। পরবর্তী শুনানির জন্য ১৩ মার্চ দিন নির্ধারণ ছিল।
এদিন দুপুরের দিকে শুনানির জন্য আবেদনটি তালিকায় আসে। এর আগে একটি সম্পূরক আবেদন দেন রিটকারী আইনজীবী মনির হোসেন।
এর আগে গত ৭ মার্চ সোমবার শুনানির শুরুতেই আদালত রিট আবেদনের বিভিন্ন সংশোধনের কথা বলেন। পয়েন্ট ধরে ধরে আইনজীবীকে সংশোধনের কথা বলেন আদালত। মনিটরিং সেল গঠনের নীতিমালা নিয়েও কথা বলেন আদালত।
রিটকারীদের পক্ষে মুহিদুল কবির আদালতকে বলেন, একটু তাড়াহুড়ো করায় আবেদনে ভুলত্রুটি হয়ে গেছে। পরে আদালত এ বিষয়ে সংশোধন করে মঙ্গলবার আসতে বলেন।
গত ৬ মার্চ ভোজ্যতেল সয়াবিনের দাম নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।
৩ মার্চ ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার পত্রিকায় প্রকাশিত সয়াবিন তেল নিয়ে একটি প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন এই আইনজীবী। পরে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদেশ না দিয়ে রিট করার পরামর্শ দেন।
এমবুইউ