সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নাজমুল আহাসানের জানাজা সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২, ০১:৫৫ পিএম

ঢাকাঃ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ (শুক্রবার) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তার সহকর্মী বিচারপতি, আইনজীবীদের অংশগ্রহণে জানাজা সম্পন্ন হয়।

জানাজায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, আপিল বিভাগের বিচারপতিরা, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সিনিয়র আইনজীবীবৃন্দ ও আইনজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।

জানাজার আগে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও মরহুম বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের একমাত্র ছেলে তাইম হাসান প্রান্ত স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন। জানাজার পরে প্রধান বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।

জানাজা শেষে তাকে বরিশালের হিজলা উপজেলায় নিজ গ্রামে দাফনের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এর আগে আজ শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর সোয়া ৬টার দিকে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া এই বিচারপতি। 

গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত অন্য তিন বিচারপতির সঙ্গে নাজমুল আহাসানও আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। শপথ গ্রহণের দিন থেকে নিয়োগ কার্যকর হবে বলে নিয়োগসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। নিয়োগপ্রাপ্ত এই চার বিচারপতির মধ্যে বোরহান উদ্দিন, এম. ইনায়েতুর রহিম ও কৃষ্ণা দেবনাথ গত ৯ জানুয়ারি শপথ নেন। শপথের পর সেদিন থেকেই তারা আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে বিচারকাজ পরিচালনা করে আসছেন। তবে বিচারপতি নাজমুল আহাসান করোনা সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় শপথ নিতে পারেননি।  

১৯৫৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এফ আর এম নাজমুল আহাসান। তার পিতার নাম মো. আনোয়ার হোসেন ও মাতার নাম জাহানারা বেগম। তিনি বিএ (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর এলএলবি পাস করে আইন পেশায় যোগ দেন। ১৯৮৬ সালের ১৮ মার্চ জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন নাজমুল আহাসান।

১৯৯৪ সালের ২২ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের ও ২০০৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি। পরে ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। পরে ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল স্থায়ী হন। 

আগামীনিউজ/এমবুইউ