ঢাকাঃ দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কারণে আজ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ ভার্চুয়ালি পরিচালিত হবে। এরইমধ্যে সকাল ৯টা থেকে আপিল বিভাগে ভার্চুয়ালি বিচারকাজ শুরু হয়েছে।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে বিচারকাজ শুরু হয়। আর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ভার্চুয়ালি বিচারকাজ শুরু হবে হাইকোর্ট বিভাগে।
সংক্রমণ বাড়ায় গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ ভার্চুয়ালি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। পরে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর এ বিষয়ে পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বুধবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
আপিল বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘করোনা সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বুধবার থেকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’ এবং এতদসংক্রান্তে জারি করা প্র্যাকটিস ডিরেকশন অনুসরণ করে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’
হাইকোর্ট বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘করোনা সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বুধবার থেকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’ এবং এতদসংক্রান্তে জারি করা প্র্যাকটিস ডিরেকশন অনুসরণ করে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের সব বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের ১৩ বিচারপতি করোনা আক্রান্ত। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অনেক স্টাফ। সেইসঙ্গে নিম্ন আদালতের অনেক বিচারকও করোনায় আক্রান্ত, এমন অবস্থায় কোর্ট চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, চারদিকে করোনা সংক্রমণের যে অবস্থা, তাতে মনে হচ্ছে আবারও ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনায় যেতে হবে। ভার্চুয়ালি মামলা যে কম নিষ্পত্তি হয় তা কিন্তু নয়, ভার্চুয়ালি বেশিই নিষ্পত্তি হয়।
নতুন বছরের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। বিশেষত এক সপ্তাহে সংক্রমণ বাড়ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে ১১ দফা বিধিনিষেধ কার্যকর করছে সরকার।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সীমিত পরিসরে সুপ্রিম কোর্টের বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল। তবে ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় (আপিল ও হাইকোর্ট) বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শারীরিক উপস্থিতিতে চালু করে কোর্ট প্রশাসন।
আগামীনিউজ/বুরহান