ঢাকাঃ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা ও ইতিহাস বিকৃতি রোধে সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র যারা অস্বীকার করে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের বিষয়ে আজ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) আদেশের দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। বিষয়টি আগামী নিউজকে নিশ্চিত করেন অ্যাডভোকেট এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম।
এর আগে রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট শাকিলা রওশন, অ্যাডভোকেট সাগুফতা আহমেদ ও এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গত ২ ডিসেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী উত্তম লাহেড়ির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী ও এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম এ রিট দায়ের করেন।
রিট আবেদনে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র যারা অস্বীকার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিবসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিবসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম বলেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র সম্পর্কে জানতে পারে, সে কারণেই এ রিট করা হয়েছে।
আবেদনে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র যারা অস্বীকার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়া উর রহমানকে স্বাধীনার ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনে।
আগামীনিউজ/বুরহান