অর্থপাচারে জড়িত ২৯ ব্যক্তি-১৪ প্রতিষ্ঠানের তালিকা দাখিল

আদালত ডেস্ক ডিসেম্বর ৫, ২০২১, ১১:৪৭ এএম
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত ১৪টি প্রতিষ্ঠান ও ২৯ ব্যক্তির তালিকা আদালতে দাখিল করা হয়েছে।

রোববার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তালিকা দাখিল করেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আজই এ বিষয়ে শুনানি হবে।

হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান।

তালিকায় থাকা ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান 

১. আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মাল্টিমোড লি., অ্যাংকর টাওয়ার, ১০৮ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা।

২. মিজ নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, মাল্টিমোড লি., অ্যাংকর টাওয়ার, ১০৮ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা।

৩. তাবিথ আউয়াল, মাল্টিমোড লি., অ্যাংকর টাওয়ার, ১০৮ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা।

৪. তাফসির আউয়াল, মাল্টিমোড লি., অ্যাংকর টাওয়ার, ১০৮ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা।

৫. তাজওয়ার মো. আউয়াল, মাল্টিমোড লি., অ্যাংকর টাওয়ার, ১০৮ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা।

৬. মোগল ফরিদা ওয়াই, ৮০-৭২, তাইরন পিআই, জ্যামাইকা, নিউইয়র্ক, ইউএসএ।

৭. শহিদ উল্লাহ, ২৩৫, স্যাডল রজি পেলস, দ্য উড ল্যান্ডস, টেক্সাস, ইউএসএ।

৮. চৌধুরী ফয়সাল, বাড়ি # ২৩, রোড# ২৩, ব্লক-বি, বনানী, ঢাকা।

৯.আহমাদ সামির, অ্যাপার্টমেন্ট # ৪বি, ১৫ ইউনাইটেড নেশানস রোড, বারিধারা, ঢাকা।

১০. ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট বাংলাদেশ লি., ৫০ মহাখালী বা/এ, ঢাকা।

১১. মুসা বিন শমসের, ভেনাস ওভারসিজ কোং, হোল্ডিং ব্লক-আই, বনানী, ঢাকা।

১২. ফজলে এলাহী, ডাইনামিক এনার্জি, হোল্ডিং বাড়ি # ৪২৪, রোড # ০৭, বারিধারা ডিওএইচএস, ঢাকা।

১৩. কেএইচ আসাদুল ইসলাম, ইন্ট্রিপিড গ্রুপ, ধানমন্ডি, ঢাকা।

১৪. জুলফিকার আহমেদ, খালেদা শিপিং কোম্পানি, বাড়ি # ১৩২, রোড # ০৫, ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা।

১৫.  তাজুল ইসলাম তাজুল, জেমিকো ট্রেড ইন্টা. চাষাঢ়া, নারায়ণগঞ্জ।

১৬. মোহাম্মদ মালেক, বেঙ্গল শিপিং লাইনস, ১০১ আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম।

১৭.  ইমরান রহমান, ওসান আইস শিপিং কোম্পানি, ইপিজেড ঢাকা ।

১৮. মোহাম্মদ এ আউয়াল, শামস শিপিং লি., ৭৭, মাওলানা শওকত আলী রোড, লালখান, চট্টগ্রাম।

১৯. এরিক জনসন আনড্রেস উইলসন, ডব্লিউএমজি লি. বাড়ি # ১৪, রোড # ১৩, সেক্টর # ৪, উত্তরা, ঢাকা।

২০.  ফারহান ইয়াকুবুর রহমান, ইন্ট্রিডিপ গ্রুপ, বাড়ি # ৫, রোড # ৫১, গুলশান, ঢাকা।

২১. তাজুল ইসলাম, জেমিকো ট্রেড ইন্টা., বালুর মাঠ, চাষাঢ়া, নারায়ণগঞ্জ।

২২. আমানুল্লাহ চাগলা, পদ্মা টেক্সটাইল, বাড়ি # ৪৫৮, লেন-৮, ডিওএইচএস, বারিধারা ঢাকা।

২৩. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, নিউটেকনোলজি ইনভেস্টমেন্ট, মস্কো, রাশিয়া।

২৪. মোহাম্মদ রেজাউল হক, মাল্টা।
 
২৫. মোহাম্মদ কামাল ভুইয়া, তুহিন-সুমন, জেমিকো ট্রেড ইন্টা:, বালুর মাঠ, চাষাঢ়া, নারায়ণগঞ্জ।
 
২৬. মাহতাবা রহমান, সেলকন শিপিং কোম্পানি, বাড়ি # ৮৭এ, রোড # ০৬, ডিওএইচএস, বনানী, ঢাকা।

২৭. ফারুক পালওয়ান, জেমিকো ট্রেড ইন্টা, নারায়ণগঞ্জ।
 
২৮. মাহমুদ হোসাইন, গ্লোবাল এডুকেশন সিস্টেম, আয়ারল্যান্ড। 

২৯. শাহনাজ হুদা রাজ্জাক, সাউদার্ন আইস শিপিং কোম্পানি, ঢাকা ইপিজেড।

উল্লেখ্য, কানাডার ‘বেগমপাড়া’র বিষয়টি আলোচনায় আসার আগে, গত বছরের ২২ অক্টোবর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাসুদ বিন মোমেনের কাছে দুদক কমিশনের মহাপরিচালক (অর্থপাচার) আ ন ম আল ফিরোজ এক চিঠিতে বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার করে বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব গ্রহণকারী বাংলাদেশিদের তালিকা চান।

এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয় যে, বেগমপাড়ায় ২৮ বাংলাদেশির বাড়ির খোঁজ পেয়েছে সরকার। যার মধ্যে বেশিরভাগের মালিক সরকারের উচ্চপদস্থ আমলা। তাদের নামের তালিকা খোঁজ করছে দুদক। তালিকা হাতে পেলেই তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

গত বছর ১৮ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছিলেন, কানাডায় খবর নিয়েছি, প্রাথমিকভাবে কিছু সত্যতা পেয়েছি। মনে করছিলাম রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেশি হবে। কিন্তু দেখা গেল রাজনীতিবিদ চারজন। সরকারি কর্মচারীর সংখ্যা বেশি। এছাড়া কিছু ব্যবসায়ীও আছে। বিদেশে যদি কেউ বৈধভাবে টাকা নেয়, তাহলে কোনো আপত্তি নেই। তবে অবৈধভাবে পাচার করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকারি কর্মকর্তাদের অর্থপাচারের বিষয়ে ২৩ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশের বাইরে অর্থপাচারে জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য তদন্ত সংস্থা কাজ করছে।

আগামীনিউজ/বুরহান