ক্ষমা চাইলেন বিচারক কামরুন্নাহার

ডেস্ক রিপোর্ট নভেম্বর ২২, ২০২১, ০১:০২ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ ধর্ষণ মামলায় উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের পরও এক আসামিকে জামিন দেওয়া বিচারক কামরুন্নাহার ব্যাখ্যা দিতে আপিল বিভাগে হাজির হয়েছেন।

রোববার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে তার বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্থগিতাদেশ থাকার পরও ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে জামিন দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বিচারিক ক্ষমতা থেকে সদ্য প্রত্যাহার হওয়া বেগম মোছা. কামরুন্নাহারকে তলব করেছিলেন আপিল বিভাগ। সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতেই সকালে এসেছিলেন তিনি।

গত ১১ নভেম্বর রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার পর পর্যবেক্ষণে বিচারক পুলিশের উদ্দেশে ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা না নিতে ‘পরামর্শ’ দেন। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত আলোচিত এ মামলার রায় দেন। রায়ের পর্যবেক্ষণ দেওয়ার পর সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

১৪ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সাথে আলোচনাক্রমে তার বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে আদালতে না বসার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে তাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট থেকে সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়।

আগামীনিউজ/নাসির