ঢাকাঃ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য কমিটি গঠনের আদেশের দিন পিছিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্ট। কমিটি গঠনের জন্য প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের ব্যাকগ্রাউন্ড পর্যালোচনা করে আদালত আগামী সপ্তাহে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন। এ বিষয়ে আগামী ১৭ বা ১৮ অক্টোবর শুনানি করে ওইদিন কমিটি গঠন করতে পারেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার, প্রতিযোগিতা কমিশনের আইনজীবী তাপস কান্তি বল।
আদালতে আজ শুনানি করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার, প্রতিযোগিতা কমিশনের আইনজীবী তাপস কান্তি বল। অন্যদিকে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
এর আগে বুধবার সকালে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য হাইকোর্ট যে কমিটি গঠনের কথা বলেছেন তার জন্য দুই সচিবসহ তিনজনের নাম পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইনজীবী তাপস কান্তি বল এ তালিকা আদালতে দাখিল করেন।
যাদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে তারা হলেন- স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব রেজাউল আহসান, ভূমি সংস্কার বোর্ডের সাবেক সচিব ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী। এর মধ্যে একজনকে রাখা হবে কমিটিতে।
এর আগে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ইভ্যালির বিষয়ে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিব, একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস ও একজন আইনজীবী দিয়ে ইভ্যালির জন্য বোর্ড গঠন করতে বলেছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এমন তিনজনের নাম উল্লেখ করে প্রস্তাব আদালতে পাঠানোর জন্য বলেছেন। পরে এ বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য বুধবার দিন ঠিক করা হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব নথি তলব করেন হাইকোর্ট। ১১ অক্টোবরের মধ্যে জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রারকে আদালতে সব নথি দাখিল করতে বলা হয়।
ইভ্যালির সম্পত্তিতে নিষেধাজ্ঞার আদেশের ধারাবাহিকতায় বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব ওইদিন জানিয়েছিলেন, আবেদনকারী ইভ্যালি অনলাইন শপিংমলে গত মে মাসে একটি ওয়াশিং মেশিন অর্ডার করেন। অর্ডারের সময় তিনি মোবাইল ফোনভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবার মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করেছেন। এরপর কোম্পানিটি অনলাইনে তাকে একটি পণ্য কেনায় ৩৩ হাজার ৩০৮ টাকার একটি রসিদও দেয়।
কিন্তু এতদিনেও তারা পণ্যটি বুঝিয়ে দেয়নি। পণ্য বুঝে পেতে আবেদনকারী যোগাযোগ করলে তাকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়, কিন্তু পণ্য বুঝিয়ে দেয়নি কিংবা টাকাও ফেরত দেয়নি। পরে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ই-ক্যাব, ভোক্তা অধিকারে কয়েকবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন এবং হাইকোর্টে কোম্পানিটির অবসায়ন চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে ইভ্যালি লিমিটেড, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, কনজুমার রাইটস প্রটেকশন ব্যুরো, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-ক্যাব অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে বিবাদী করা হয়।
আগামীনিউজ/বুরহান